স্বেছাবসর নিয়ে রাজনীতিতে আসা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রকাশ্য সভা থেকে ২ লাখ ভোটে হারানোর ডাক দিলেন দলেরই নেতা! তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা চন্দন মণ্ডল প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারানোর ডাক দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনা ঠিক কী? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে বিজেপির নির্বাচনী সভা থেকে চন্দন মণ্ডল বক্তব্য রাখার সময় বার বার বলছেন, “তমলুক আমরা কম করে ২ লাখ ভোটে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারাবো।” মঞ্চে উপস্থিত বিজেপির অন্যান্য নেতারা যা শুনে হতভম্ব হয়ে যান। হাসাহাসিও করতে দেখা যায় তাঁদের। পরে অবশ্য ভুল শুধরে নিয়ে চন্দন মণ্ডল কিছুটা মৃদু স্বরে বলেন, ২ লাখ ভোটে অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে জেতাতে হবে।
কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে এই ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষের সুরে লেখেন, “নাও, ঠেলা বোঝো…! অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দুলক্ষ ভোটে হারানোর ডাক। ইনি চন্দন মন্ডল, তমলুকে বিজেপির সম্পাদক। আগেই বলেছিলাম গদ্দারপন্থীরা অভিজিতবাবুকে হারানোর খেলা খেলবে।সেটাই মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে।”
নাও, ঠেলা বোঝো…
অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দুলক্ষ ভোটে হারানোর ডাক।
ইনি চন্দন মন্ডল, তমলুকে বিজেপির সম্পাদক।
আগেই বলেছিলাম গদ্দারপন্থীরা অভিজিতবাবুকে হারানোর খেলা খেলবে।
সেটাই মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। pic.twitter.com/j2xHLGQTgB— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 29, 2024
কিছুদিন আগে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, তমলুক থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ালে তাঁকে হারিয়ে দেবে শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে কুণালের দাবি ছিল, যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তমলুকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাচ্ছে, সেই ও হারিয়ে দেবে। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেন ভোটে না দাঁড়ান।
তখনও বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। সেই সময় কুণাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, “শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচয় থাকার সুবাদে একটি অনুরোধ। আপনি বিচারপতি থাকাকালীন বিতর্কিত। ইস্তফা দিয়ে প্রশ্নের মুখে। বিজেপিতে গিয়ে সমালোচিত। অনুরোধ, এখনও সময় আছে, ওদের বলে দিন, প্রার্থী হবেন না তমলুকে।”
সঙ্গে তিনি আরও লিখেছিলেন, “তমলুকে তৃণমূল জিতবে। দু’মাস পর আপনার সব সম্মান নষ্ট হবে। যে নিয়ে যাচ্ছে, সে-ও আপনাকে হারাবে। তার দলে অনেক বড় নাম সে সহ্য করতে পারে না, বাড়তে দেবে না। এখনও সময় আছে, আপনি নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে থাকুন। পরাজয়ের দিনটি দেখা বড় কঠিন। শুভানুধ্যায়ী হিসাবে ভাবতে বললাম।” তমলুকের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা চন্দন মণ্ডলের ভিডিও সামনে এনে নিজের দাবির স্বপক্ষে ফের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন কুণাল।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।