বনাঞ্চলে আগুন ! বন কর্মী ও দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
জলপাইগুড়ি:- আবারও বনের মধ্যে লাগলো আগুন। শুকনো পাতায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো আগুন। লেলিহান শিখায় জ্বলে উঠলো গাছের কান্ড পাতা।বনকর্মী ও দমকলের চেষ্টায় বিকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বনভূমির বেশ খানিকটা অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটে নাগরাকাটা ব্লকের চাপরামারি বনাঞ্চলের ১৭ নম্বর জাতীয় সরক সংলগ্ন এলাকায়।
জানাগেছে, সোমবার দুপুরের দিকে বনকর্মীদের নজরে আসে ১৭ নম্বর জাতীয় দু’দিকে বনের ভিতরে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চালসা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রকাশ থাপা সহ বন কর্মীরা। ততক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ে । লেলিহান শিখায় জ্বলতে শুরু করে। মালবাজার থেকে আসে বনকর্মীরা। তারা আগুন নেভাতে তৎপর হয়। খবর দেওয়া হয় মালবাজার দমকল কেন্দ্রে। সেখান থেকে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। বেশকিছু ক্ষনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ততক্ষণে বেশ খানিকটা অংশ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তবে কিভাবে আগুন লাগলো? সে সম্পর্কে জানা না গেলেও, বনকর্মীদের অনুমান বনাঞ্চলে গরু চড়াতে গিয়ে কেউ জ্বলন্ত বিড়ি বা শলাই ফেলে থাকতে পারে।
চালসার পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, এখানকার বনাঞ্চলে অনেকেই গরু চড়াতে যায়। তাদের অসর্তকতায় বিড়ি শলাই থেকে আগুন লাগে। অনেক সময় ইচ্ছাকৃত আগুন লাগানো হয়। তবে এভাবে আগুন লাগলে বনাঞ্চলে থাকা জন্তুজানোয়ার, পাখি ও কীটপতঙ্গ সহ অনুজীবী প্রানীদের ক্ষতি হয়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে চালসার কাছে খড়িয়ার বন্দর বনাঞ্চলের ভিতর আগুন লেগেছিল। সেদিনও দমকল এসে আগুন নেভায়।
প্রতি বছর এই সময় শুখার মরসুমে ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে আগুন লাগতে দেখা যায়। এজন্য পরিবেশ প্রেমীরা উদ্বিগ্ন।
সঞ্জু! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।