< আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

WhatsApp Image 2023 11 19 at 9.35.37 AM
Spread the love

 

vinod khannavinod khanna

২০১৭
বিনোদ খান্না
(১৯৪৬-২০১৭) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কলেজ পাশ করার পর থিয়েটারে তাঁর অভিনয় দেখে সুনীল দত্ত তাঁকে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে ফিল্মে ডেবিউ করেন বিনোদ। প্রথম ছবি এতটাই হিট হয়েছিল যে, রাতারাতি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে যান বিনোদ। পরপর ১৫টি ফিল্মে সই করে ফেলেন তিনি। বহু ফিল্মের হিট নায়ক বিনোদ খান্না একসময় সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন। এই পরিবর্তনের পেছনে ছিলেন ওশো রজনীশ। পরে অবশ্য বলিউডে কাম ব্যাক করেন বিনোদ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ থেকে আমৃত্যু গুরদাসপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। ক্যানসারে মৃত্যু হয় তাঁর।

 

 

firojfiroj

২০০৯

ফিরোজ খান (১৯৩৯-২০০৯) এদিন মারা যান। বলিউডের অভিনেতা। ১৯৭৬-এ ‘শঙ্কর শম্ভু’ ছবিতে বিনোদ খান্নার সঙ্গে প্রথম একত্রে অভিনয় করেন। তার পরে ১৯৮০-র ছবি ‘কুরবানি’। ৪২ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই ছবি থেকেই শুরু হয় বন্ধুত্বের রসায়ন। সেই ছবির বিখ্যাত ডায়লগ, ‘ঈশ্বর কা দুসরা নাম দোস্তি হ্যায়’— আজও সিনেপ্রেমীদের কানে বাজে। দীর্ঘ বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের। মৃত্যুতেও আশ্চর্য মিল! আট বছরের তফাতে এই দুই সেলেব বন্ধুর মৃত্যুও আসে একই ভাবে। ক্যানসারজনিত কারণে ইউরিনারি ব্লাডারে অত্যধিক সংক্রমণের ফলে।

dada thakurdada thakur

১৮৮১ ও ১৯৬৮

শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুর (১৮৮১-১৯৬৮) এই তারিখেই জন্ম নেন ও মারা যান। জঙ্গিপুর সংবাদ ও বিদূষক নামে দুটি সাময়িকপত্র সম্পাদনা করতেন। তাঁর নিজের ছাপাখানা ছিল। নাম পণ্ডিত প্রেস। নিজের প্রেস সম্পর্কে দাদাঠাকুর বলতেন, আমার ছাপাখানা হালফ্যাশানি ছাপাখানা নয়। আমার ছাপাখানায় আমিই প্রোপাইটার আমি কম্বোজিটার, আমি প্রুফরিডার, আমিই ইঙ্ক ম্যান। কেবল প্রেসম্যান আমি নই—সেটি ম্যান নয়, উওম্যান, অর্থাৎ আমার অর্ধাঙ্গিনী। এক ব্যক্তি বিধানসভা সম্পর্কে দাদাঠাকুরের মত জানতে চাইলে তিনি মজা করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্রের খোশমেজাজের সভা বলেই তাকে বিধানসভা বলে। আর একবার এক আড্ডার আসরে একজন ব্যক্তি রসিকতা করে দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতকে জিগ্যেস করলেন, দাদাঠাকুর, আপনার উপাধিটা কী করে পণ্ডিত হল? প্রশ্ন শুনে মুচকি হেসে রসিক দাদাঠাকুর উত্তরে বললেন, কেন হবে না বলো, কোনও বস্তু যখন খণ্ড খণ্ড হয় তখন তাকে বলে খণ্ডিত, তেমনি আমি যখন যেখানে যাই সেখানকার সব কাজ পণ্ড করে দিই। — তাই আমি পণ্ডিত।

 

pulishpulish

১৯৪৯

বন্দিমুক্তির দাবিতে একটি মিছিল হয়। সেই মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন লতিকা সেন, অমিয়া দত্ত, গীতা সরকার, প্রতিভা গঙ্গোপাধ্যায়, যমুনা দাস। কমিউনিস্ট পার্টির তরফে নির্দেশ ছিল, যেভাবেই হোক ১৪৪ ধারা ভাঙো, পুলিশকে গুলি চালাতে প্ররোচিত করো। মিছিলে ছিল দুটি অ্যাকশন স্কোয়াড। ওই দুই স্কোয়াড একটি এসেছিল উত্তর কলকাতা থেকে, অন্যটি দক্ষিণ কলকাতা থেকে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউয়ে মিছিল পুলিশের মুখোমুখি হয়। পুলিশ বাধা দেয়। ওই সময় মিছিলে তিন-চারটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গুলি চালায়। পথে লুটিয়ে পড়েন লতিকা সেন, অমিয়া দত্ত, গীতা সরকার, প্রতিভা গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, লতিকা সেনের স্বামী রণেন সেনের আত্মজীবনীতে অবশ্য অমিয়া দত্ত এবং গীতা সরকারে উপাধি ভিন্ন, গীতা দে এবং অমিয়া সরকার। আর ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তীকালে অধ্যাপক ও শিক্ষক নেতা নিতাই বসু আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তাঁদের সবার মৃত্যু কি পুলিশের গুলিতেই না বোমার আঘাতে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না।

raj shekharraj shekhar

১৯৬০

রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০) এদিন প্রয়াত হন। ছদ্মনাম পরশুরাম। একাধারে রসায়নবিদ এবং রসসাহিত্যিক। দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগ নেই, আবার নেই বিরোধও। বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে ভূশণ্ডীর মাঠে রাজশেখর বসুর অবাধ যাতায়াত। তাঁর লেখা গল্প পড়ে প্রফুল্লচন্দ্র বলেছিলেন, “এই বুড়া বয়সে তোমার গল্প পড়িয়া হাসিতে হাসিতে choked হইয়াছি।” ‘কজ্জলী’, ‘হনুমানের স্বপ্ন’, ‘গামানুষ জাতির কথা’, ‘ধুস্তরী মায়া’, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘নীল তারা’, ‘আনন্দীবাঈ’, ‘চমৎকুমারী’ ইত্যাদি আস্বাদে পাঠক চমৎকার আরাম-স্বস্তি পান।

miltonmilton

১৬৬৭

অন্ধ কবি জন মিলটন এদিন মাত্র ১০ পাউন্ডের বিনিময়ে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘প্যারাডাইস লস্ট’-এর প্রকাশনা স্বত্ব বিক্রি করে দেন। এদিন সঙ্গে সঙ্গে ৫ পাউন্ড পেয়ে যান। পড়ে ১,৩০০ কপি বিক্রি হলে আরও ৫ পাউন্ড পান। অন্ধ অবস্থাতেই এক পর্ণকুটিরে বসে রচনা করেছিলেন দুই কালজয়ী মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’ আর ‘প্যারাডাইস রিগেইন্ড’। বৃদ্ধ, অন্ধ মিলটন মুখে বলে যেতেন, আর তাঁর হয়ে লিখতেন তাঁর কন্যা দিবোরা।

 

antonioantonio

১৯৩৭

আন্তোনিও গ্রামশি (১৮৯১-১৯৩৭) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইতালীয় দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজতাত্ত্বিক। “পুরাতন পৃথিবী মরছে, আর নতুন বিশ্ব সংগ্রাম জন্ম নেবে। এখন সময় দানবদের,” বলেছিলেন তিনি।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *