আশঙ্কার মধ্যেও ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পারছি WBSSC মাধ্যমে প্রায় ২৩ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থীর চাকরি আশঙ্কার মুখে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বাতিল করা হয়েছে পুরো প্যানেলটি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কারো চাকরি যাবে না, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এই মামলাটির উপর স্টে অর্ডার অর্ডার আনা হবে এবং সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি নিয়ে লড়তে চেয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে আরো ১০ লক্ষ চাকরির রেডি করা রয়েছে এবং যারা চাকরির করতে ইচ্ছুক তাদের সকলেরই চাকরি হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই প্রাইমারিতে ২০২২ স্টেট চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়াও নিতে হবে এখানে প্রচুর শূন্য পদ রয়েছে রাজ্যের হাতে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রচুর শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে, সঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছিলেন পুলিশ দপ্তরে, পঞ্চায়েত দপ্তরে অঙ্গনওয়াড়ি দপ্তরে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তর গুলোতে ক্লার্ক পদে কর্মী নিয়োগ হবে খুব শীঘ্রই। এখানে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাশ থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পাস উচ্চ মাধ্যমিকের গ্রাজুয়েশন পাস সহ আরও বিভিন্ন যোগ্যতায় যারা বেকার রয়েছেন তাদের সকলেরই চাকরির সুযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি ওঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা চলছিল অবশেষে সেই মামলার নিষ্পত্তি ঘটলো। এক্ষেত্রে জয়ী হলো যোগ্য প্রার্থীরা এবং অযোগ্যরা এক্ষেত্রে চাকরি থেকে বঞ্চিত। যারা যোগ্য প্রার্থী তারা সকলেই আবার নতুন প্যানেলে চাকরি পেয়ে যাবেন তবে যারা অযোগ্য তাদের আর কোন ভাবেই প্যানেলের নাম নথিভুক্ত হবে না। এর সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণের পরবর্তী সময়ে চাকরি পেয়েছেন এবং যারা সাদাখাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এবং যারা পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন চাকরি-প্রার্থীদের বেতন সুদ সমেত জমা দিতে হবে। তবে যারা আইনিভাবে এবং মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন তাদের টাকা জমা দিতে হবে না।
এরকমই প্রাইমারির ক্ষেত্রেও একটি মামলা রয়েছে যেখানে কোর্টের তরফ থেকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে পুরো ৬০ হাজার চাকরি বাতিল করা হবে। কারণ ২০১৬ প্রাইমারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গিয়েছে এবং তারই তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুনরায়। অনেকেই আশাবাদী এখানে প্রচুর দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছে যারা চাকরি করছেন তাই এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যারা চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাদের চাকরিতে নিযুক্ত করতে হবে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এই বিভিন্ন জনসভায় ঘোষণা করে যাচ্ছেন রাজ্যের নাকি ১০ লক্ষ চাকরি রেডি করা রয়েছে। ১০ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দিতে চাই রাজ্য। তবে পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীরা আশাবাদী হয়তো খুব শীঘ্রই এই 10 লক্ষ শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে এবং যারা বেকার রয়েছেন তারা বেকারত্ব জ্বালা থেকে মুক্তি পাবে।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।