আস্ফালনই সার! এখন ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেনি রাম-বাম কোনও দলই। শনিবার, পাশের কেন্দ্র মথুরাপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সভা থেকে এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। লোকসভা ভোটের আগে ইডি -সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার প্রসঙ্গে তুলে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বলেন, ইডি-র ডিরেক্টর মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ না করে সামনে এসে ভোটে লড়ুাই করুন।
বিজেপি তো ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী পাচ্ছে না। সেখানেই প্রার্থী করুক ইডি অধিকর্তাকে। একই সঙ্গে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজেপি সরকার বলুক আগামী ৫বছর রান্নার গ্যাস ফ্রি-তে দেবে। আমি বাংলার ৪২টি আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেব। একই সঙ্গে তীব্র খোঁচা দিয়ে অভিষেক মনে করিয়ে দেন, ১৬ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর চ্যালেঞ্জ মেনে বাংলাকে আবাস ও ১০০দিনের কাজে গত ২বছরে কেন্দ্র কত টাকা দিয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারল না BJP।
অনেক হম্বিতম্বি করার পরেও ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। এদিকে, সমানে দেশজুড়ে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে তুলোধনা করেন অভিষেক। বলেন, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এরপরেই ইডি-সিবিআই-আয়কর কর্তাদের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, মেঘনাদের মতো আড়ালে থেকে যুদ্ধ করছেন কেন! তল্পিবাহকতাই যখন করছেন, তখন ভোটে লড়ুন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ইডি ডিরেক্টরকে সেই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করুন। সিবিআই, আয়কর- এইসব এজেন্সির কর্তারাও অন্যান্য কেন্দ্রে পদ্মশিবিরের প্রার্থী হন।
একই সঙ্গে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজেপি সরকার বলুক আগামী ৫বছর রান্নার গ্যাস ফ্রি-তে দেবে। তিনি বাংলার ৪২ আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেবেন। একই সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনে করিয়ে দেন, বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর করা শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ১৬দিন পরেও গ্রহণ করতে পারেনি বিজেপি।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।