সামনেই গরমকাল। আর কাঠফাটা গরম পড়ার আগেই শহর কলকাতার প্রতিটি কোনায় পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া নিয়ে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুরভবনে পেশ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পুর-বাজেটে জলের খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম শহরে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এই রেকর্ড পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এবারের পুর-বাজেটে শহরে জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য ৭০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এমনি সময় মাথাপিছু নগরবাসীর দিনে ১৫০ লিটার জলের প্রয়োজন হলেও গরমকালে স্বাভাবিকভাবেই জলের চাহিদা বাড়ে শহরে। তাই তীব্র গরম পড়ার আগেই কলকাতায় যে এলাকাগুলিতে পানীয় জল সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, তা একেবারে নির্মূল করতে চায় পুরসভা। এই নিয়ে নিজেই সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। পুর-বাজেট পেশের পর কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গরম পড়ার আগেই জলের সরবরাহ ঠিক করতে হবে। সমস্যা থাকলে আমাকে জানান। শুধুমাত্র জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করবে পুরসভা। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, টালিগঞ্জ, গড়িয়া, পাটুলির মতো অঞ্চলে জল সরবরাহে ঘাটতি মেটানোয় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ধাপায় জয়হিন্দ জলপ্রকল্পে আরও একটি দৈনিক ২০ মিলিয়ন গ্যালন কার্যক্ষমতাসম্পন্ন জল শোধনাগার, পাটুলির বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে অতিরিক্ত জলাধার-সহ গোটা শহরে একগুচ্ছ ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও জলাধার তৈরি হচ্ছে। গড়িয়ায় ১০ মিলিয়ন গ্যালন কার্যক্ষমতাসম্পন্ন জল শোধনাগার তৈরি করা হবে। এছাড়াও মেরামত করা হবে শহরের বিভিন্ন পুরনো জরাজীর্ণ পাইপলাইনও। পাশাপাশি, নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানোর জন্য সচেষ্ট হয়েছে কলকাতা পুরসভা।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।