আধুনিক বিশ্বে আমরা টাকা ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারি না। অর্থ আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সঙ্গে বিপদের সময়ে সহায়তা প্রদান করে। অর্থাৎ অসুখ বিসুখ বা প্রিয়জনের বিপদের সময় সঞ্চিত অর্থই আমাদের কাজে আসে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত অর্থ সঞ্চয়ের দিকে নজর দেওয়া। অর্থনীতির হিসেব অনুসারে প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত তার উপাজর্নের অর্ধেক অংশ সঞ্চয় করা। আধুনিক ভোগবাদী বিশ্বে হয়তো অর্ধেক উপার্জন জমানো সম্ভব নয়। তবে কিছুটা অংশ অবশ্যই তুলে রাখা যায়। আমরা কমবেশি সকলেই সেই চেষ্টা করি। তবে জানলে অবাক হবেন টাকা রাখার জায়গার ওপরেই নির্ভর করে আপনার সম্পদ থাকবে নাকি দ্রুত সেই সঞ্চয় ভেঙে যাবে! সাধারণত লকার রুম হল প্রত্যেকের বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপদ জায়গা। কারণ লকার রুমেই সকলে নগদ অর্থ, অলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি নিরাপদে রাখেন। বাস্তু অনুসারে, লকারের রং, উপাদান, আকার, আকৃতি, অবস্থান, কোন ঘরে রাখা হচ্ছে, সেই ঘরের বৈশিষ্ট্যগুলি গৃহে অর্থের প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে।
জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশারদরা বলেন, বাস্তু সঠিকভাবে মেনে চললে, জীবনে উল্লেখযোগ্য এবং ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এর ফলে গৃহে যেমন অর্থের প্রবাহ বাড়ে তেমনই অযাচিত খরচ কমতে পারে। ফলে সন্তানের স্কুলের ফি হোক বা হঠাৎ কোথাও বেড়ানোর পরিকল্পনা— অর্থের জোগান হয়েই যায়।
টাকা কোথায় রাখবেন? লকার কোথায় বসাবেন?
বাস্তু অনুসারে, ধন-সম্পদের দেবতা কুবেরের অবস্থান হল উত্তর দিকে। তই লকারও রাখতে হবে উত্তরদিকে। ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে সেক্ষেত্রে পূর্ব দিকে মুখ করে একটি লকার রাখা যায়।
মনে রাখবেন লকারটি দেয়াল থেকে কমপক্ষে ১ ইঞ্চি দূরে থাকা উচিত। এছাড়াও, ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়াতে লকারটি উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে ফুট দূরে রাখা উচিত।
লকারের আকার, উপাদান এবং রং
লকার সবসময় বর্গাকার বা আয়তক্ষেত্রাকার হওয়া উচিত। লকারটি তৈরি হওয়া উচিত ধাতু দিয়ে তৈরি। লকারটি যেন মাটিতে স্পর্শ করে না থাকে। লকারের চার পায়ের নীচে কাঠের পাটাতন রাখা দরকার। তাই লকার কেনার সময় দেখুন লকারের পায়া আছে কি না।
বাস্তু অনুসারে লকারের সঠিক রং হল হলুদ। হলুদ সমৃদ্ধি, আনন্দ, সৌভাগ্য এবং পরিপূর্ণতার প্রতীক।
মূল্যবান জিনিসপত্র কীভাবে সাজাবেন?
আপনার সম্পদ ও সমৃদ্ধি বাড়াতে লকারের দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে সোনা, নগদ টাকা এবং গয়না রাখুন। আর হ্যাঁ, লকারের অন্দরে কোনও আয়না রাখবেন না। আয়না অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়াতে পারে।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।