ফের জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের শেষেই জঙ্গলমহল সফর করবেন তিনি। এই সফর থেকেই ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেও তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পাননি। কেন্দ্র গত ২ বছর ধরে তাঁদের মজুরি আটকে রেখেছে। বকেয়া মজুরির পরিমাণ ৩৭৩২ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করার পর এবার রাজ্য সরকার নিজেদের কোষাগার থেকেই সেই টাকা দিতে উদ্যোগী হয়েছে। তার জন্য রাজ্য বাজেটে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ মার্চ থেকে। কিন্তু রবিবার সিউড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফর শুরু হচ্ছে। তিনি সেইদিন অথবা তার আগের দিন কলকাতা থেকে সরাসরি ঝাড়গ্রামে আসবেন। ২৬ তারিখ ঝাড়গ্রামে সভা করার পাশাপাশি সেদিনই অথবা তার পরের দিন তিনি সভা করবেন মেদিনীপুরে। তারপর যাবেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়। অর্থাৎ জঙ্গলমহলের ৪ জেলাতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর পা পড়তে চলেছে। জঙ্গলমহলের ৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি ৫টি আসনেই জয়ী হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। যদিও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরে মেদিনীপুর নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফর শেষ করে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে তিনি আলাদাভাবে দুই মেদিনীপুর সফরে যাবেন।
জঙ্গলমহলের জন্য এবার কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। জঙ্গলমহলের জনতার হাতেও তুলে দেবেন সরকারি পরিষেবা। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোরও সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।