বিনোদন ডেস্ক : মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও গীতিকার শিলা আজমাহ ২০১৮ সালে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। স্বামীর নাম ছিল হারিস ইদ্রাকি ইলয়াস। তাদের শেঠ নামে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু সেই সংসার বেশিদিন টিকে উঠেনি। বিয়ের মাত্র চার বছর পরই ২০২২ সালে ডিভোর্স হয় তাদের।
বহুভাষী এই শিল্পী অবশ্য বিচ্ছেদের কারণ জানাননি। তবে সম্পর্কে থাকাকালীন কয়েকবার হারিস ইলিয়াসকে নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। ডিভোর্সের পর সাবেককে নিয়ে খুব একটা কথাও বলতে দেখা যায়নি এ মালয়েশিয়ান গায়িকাকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় শিলা। সেখানে জানালেন―ডিভোর্স দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক ভক্ত এ গায়িকার কাছে পরামর্শ চান, যিনি দুই সন্তানের ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার যাওয়া ঠিক হবে কিনা। ওই ভক্ত আরও লিখেছেন, আমি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চাই। কিন্তু ডিভোর্স দিতে অনুশোচনা হয়। আপনি কি ডিভোর্স দিয়ে অনুশোচনায় ভুগছেন?
সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন, গায়িকা শিলা জবাবে বলেন, আমি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য কখনোই অনুশোচনা করিনি। কারণ আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা আমার ও আমার ছেলের ভালোর জন্য প্রয়োজন ছিল। আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আপনার সিদ্ধান্ত যাইহোক, সেটি আপনাকে গর্বের সঙ্গে নিজের ভালোর জন্য করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সংগীতশিল্পী শিলা গত বছর সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার মুহাম্মদ উবাইদিল্লাহ মোহাম্মদ জুলকেফলিলকে বিয়ে করেন। এটি গায়িকার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্বামী হারিস ইলিয়াসের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরই নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন শিলা। দ্বিতীয় বিয়ের পর বেশ সুখী মনে হচ্ছে তাকে।
গত ৯ মে উবাইদিল্লাহ জুলকেফলিল ও শিলা কন্যাসন্তানকে আগমন জানান। সিজারিয়ান ডেলিভারির (সি-সেকশন) মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন গায়িকা। মেয়ের নাম রিয়া আকিরা।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।