লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কেন্দ্রীয় এজেন্সি NIA -এর সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুললেন তিনি। কুণালের দাবি, বিজেপি নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী NIA অভিযান চালাচ্ছে। আগামিদিনেও অভিযান চলবে। লোকসভার আগে মাঠ ফাঁকা করতে বিজেপির লিস্ট ধরে ধরে গ্রেফতারও করা হবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। এবং এই চক্রান্ত রচনা হয়েছে নিউটাউনে এসপি পদমর্যাদার এক NIA আধিকারিকের বাড়িতে। যেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের মধ্যে একজন আবার বিজেপি প্রার্থী। নিজাম প্যালেসেও বৈঠক করেছে বিজেপি (BJP) নেতারা।
এক্স হ্যান্ডেলে NIA-কে ট্যাগ করে কুণালের প্রশ্ন, “নিউটাউনে এসপি ডি আর সিংহের বাড়িতে বৈঠক করেছেন ২ বিজেপি নেতা। গ্রেফতার করার জন্য তৃণমূল নেতাদের নামের তালিকাও তুলে দেওয়া হয়েছে, এটা সত্যি না মিথ্যে?” কুণালের আরও অভিযোগ, “ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি হয়েছে, কালও আরও নোটিশ যাবে। নিজাম প্যালেসেও আধিকারিকদের সঙ্গে একই বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন বিজেপির এক নেতা, এটা সত্যি না মিথ্যে?।” তৃণমূল নেতার আরও তাঁর প্রশ্ন, ”বিজেপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কি কাল তৃণমূলের কিছু কর্মীকে গ্রেফতার করবে এনআইএ।”
Attn NIA officers
1) Whether it is a fact that 2 BJP leaders had two meetings with SP D R Sing at his new town resident, handed over list of @AITCofficial leaders and workers for immediate summon and arrest, or not. Some notices have already been issued. Tomorrow some more will…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 29, 2024
সাংবাদিক বৈঠক করেও কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘NIA-এর একজন এসপি, তিনি আইপিএস নন, দায়িত্বে এসপি। তাঁর বাড়িতে বিজেপির ২ নেতা বৈঠক করেছেন। সুখবৃষ্টি আবাসনের কাছাকাছি বাড়ি ওই আধিকারিকের। পরপর ২টি বৈঠক হয়। কেন ভোটের আগে NIA-এর অফিসার বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করবেন। সেখানে যে দুইজন গিয়েছিলেন দুইজনেই প্রার্থী। আর এক নেতা নিজাম প্যালেসে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যিনি নিজাম প্যালেসে দেখা করেছেন তিনি প্রার্থী নন।”
কুণালের সংযোজন, “‘আগামিকাল NIA অভিযান হবে পূর্ব মেদিনীপুর এবং আরও কয়েকটি জায়গায়। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি জায়গা থেকে তৃণমূলের কর্মী ও সংগঠনের কয়েকজনকে সরাতে চাইছে। ওই তৃণমূল কর্মীদের তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনআইএ।”
কিন্তু কোন ভিত্তিতে এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন? উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, “এনআইএ-এর একটি অংশ এই রাজনৈতিক লেঠেলের ভূমিকায় অংশ নিতে চান না। তাঁরাই এই খবর দিয়েছেন।”
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।