‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া আর কিছু হবে না’ এমনই বক্তব্য রেখেছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার (Rekha Sharma)। সোমবার সন্দেশখালিতে যান রেখা শর্মা। বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের থানাতেও নিয়ে যান। এর পরেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, ‘১৮টির কাছাকাছি অভিযোগপত্র পেয়েছি আজ। এর মধ্যে ২টি ধর্ষণের অভিযোগ আছে। বাকি যৌন হেনস্থা। তবে সেই মোলেস্টেশনও ভয়ঙ্কর। বলেছেন, আমাদের কাপড় খুলে দিয়েছে, এখানে স্পর্শ করেছে ওখানে স্পর্শ করেছে। এত খারাপ এখানকার পরিস্থিতি যে আমাকে এখানকার মহিলারা ছাড়তে চাইছেন না। আমাকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছেন ওনারা। খুব খারাপ অবস্থা। আমার মনে হয় না রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া আর কিছু হবে। পুলিশকেও ভয় পাচ্ছেন। লিখিত অভিযোগের কপি নিয়ে যাচ্ছি।’
কিন্তু এরই মাঝে রেখা শর্মার একটি এক্স পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক আঙিনা। ১১ই এপ্রিল ২০১৬তে রেখা শর্মার টুইটার ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। যদিও রাজনৈতিক মহল জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সন্দেশখালি সফরের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই দেখছে । মণিপুর এতদিন অশান্ত থাকলেও সেখানে বিজেপির দেখা পাওয়া যায় নি। তাছাড়া চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নজর নেই কেন্দ্রের। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সাকেত গোখেল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে চেয়ারপার্সনের আগের টুইট তুলে লেখেন, ‘গতকাল, NCW চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছেন এবং “রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার” কথা বলেছেন যা একপ্রকার বিজেপির হতাশাজনক দাবির প্রতিধ্বনি। রেখা শর্মার পূর্বসূরির মতামত কি? তার পোস্ট করা এই টুইটটি আপনাদের জন্য অজানা কিছুই রাখবে না। বিজেপি ওয়ালারা যে পদেই আসুক না কেন নারীদের নিয়ে তাদের নোংরা মানসিকতা আড়াল করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই টুইটটি বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন বিজেপির এনসিডব্লিউ চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা অমিত মালব্যর বিজেপি আইটি সেলের কর্মীদের দ্বারা ধর্ষিত বিএইচইউ-এর মহিলাদের বিষয়ে চুপ ছিলেন। ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কখনও কাজ করেননি, কখনো মণিপুরে যাওয়ার কথা মনে হয়নি।’
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।