৩৬৭ কোটি টাকায় ৩১ একর জমির উপর বোলপুরে কবিগুরুর স্মরণে রাজ্যের শিক্ষা মানচিত্রে নতুন সংযোজন বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার সিউড়ি থেকে ভার্চুয়ালি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর বোলপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দিলীপকুমার মাইতি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক এবং অন্যান্যরা। ২০১৬ সালে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯১৭ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে পাঠ্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ একর জমির উপর এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। রয়েছে দুটি গার্লস হস্টেল। মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান থেকেও পড়ুয়ারা এখানে আসতে পারবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, অধ্যাপক, পড়ুয়াদের ধন্যবাদ জানাই। বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনে খুশির হাওয়া ছাত্র-ছাত্রী মহলেও।
স্থায়ী উপাচার্য থেকে অধ্যাপক নিয়োগ না হওয়ায় অতিথি অধ্যাপক বা পরিদর্শক অধ্যাপক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চলছে। এর জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, পুরোদমে পঠনপাঠন এতদিনে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বারবার স্ট্যাটুউট অনুমোদন না করা, অধ্যাপক নিয়োগ করতে না দেওয়া, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন রাজ্যপাল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পড়ুয়ারা। তিনি আরও বলেন, আচার্যর পরিবর্তন চেয়ে ইতিমধ্যে বিল পাশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। সেটা রাজভবনে পড়ে আছে। আমি কেন একা চাইতে যাব? পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা চাইছে। এটার মধ্যে রাজনীতি আছে। আমরা আইনি সাহায্য নিয়েছি। দেশের শীর্ষ আদালত এক প্রস্থ বিষয়টিতে মতামত জানিয়েছে। আগামী ২০ তারিখ তাঁদের মতামত জানাবেন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা আমরা নেব। সকালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েককে সঙ্গে নিয়ে তিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রায় পাঁচশো শিক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও ইতিহাস পড়ানো হয়। ৩০ জন শিক্ষক আছেন। ৩০০-র বেশি পড়ুয়া আছে। বোলপুরের রায়পুর সুপুর এলাকায় ২০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।