[ad_1]
WEBDESk : ফের একবার দুঃসংবাদ টলিউডে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানার পর ফেসবুকে তা শেয়ার করেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র। বিবৃতি জারি করে আর্টিস্ট ফোরাম জানিয়েছে, অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে ২২ মার্চ রাত ১১.৫০ মিনিটে।
এই বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে আর্টিস্ট ফোরাম লিখেছে, ‘তাঁর অকাল প্রয়াণে ফোরাম গভীর শোক জ্ঞাপন করছে। আজ ২৩ মার্চ, ২০২৪ টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োতে ১২টার সময় অভিনেতার নশ্বর দেহ রাখা থাকবে। অভিনেতার প্রিয়জন, সতীর্থ, গুণগ্রাহীরা সেসময় স্টুডিয়োতে এসে শেষ শ্রদ্ধা ও মাল্যদান করতে পারেন।’
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। অভিনেতার সিওপিডির সমস্যা ছিল। জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্রর সহ তাঁর বিভিন্ন সহ শিল্পীরা এই মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ। ফেসবুকে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘চলে গেলেন একজন অসাধারণ অভিনেতা পার্থসারথি দেব। থাক আজ আর আমাদের সেসব দিনের কথা বলবোনা কমরেড’।
অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পার্পল ষ্টুডিওতে তোমার এক ছবির কাজ চলছিল আর আমাদের অনুরাগের ছোঁয়ার শুট চলছিল..তুমি নিজে এসে দেখা করে গেলে..,কয়েকজন তোমার চেনা শিল্পী আছো জেনে তুমি তোমার শট দিয়ে আমাদের সিন দেখতে এসেছিলে, এই তো গেলো মাসের কথা.. court scene চলছিল আমাদের।’
রুপাঞ্জনা মিত্রর আরও বক্তব্য, ‘জানতাম না ওইটাই আমাদের শেষ দেখা..ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু সিনিয়র শিল্পীদের মধ্যে তুমি সেই একজন যে আমাদের মতন নতুন শিল্পীদের bully হওয়া থেকে বাঁচাতে সেই সময়..স্নেহ এবং সাহায্যের হাত সব সময় বাড়িয়ে দিতে তাই আমরাও তোমাকে সম্মানের স্থানেই রেখেছি এবং রাখবো..তুমিও টাটা বলতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়তোমাকেও টাটা বলছি আজ..Have a safe journey!! Goodbye!!পার্থসারথি দেব।’
ব্যক্তিগত জীবনে একসময় দূরদর্শনের মেকআপ আর্টিস্ট বিনীতা দেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন পার্থসারথী দেব। বর্তমানে অবশ্য তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। অভিনয় জগতের সাথে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন পার্থসারথি দেব। ছবি ও ধারাবাহিক মিলে ২০০টির উপরে প্রজেক্টে কাজ করেছেন তিনি। ‘চুনী-পান্না’, ‘জয়ী’, ‘মিঠাই’-এর মতো সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় দর্শক চিরকাল মনে রাখবে।
[ad_2]
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।