দেবতাদের মধ্যে দেবতা হলে মহাদেব। সনাতন ধর্মে মহাদেবকে অন্যতম প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। সাধারণত সোমবার করে মহাদেবের পুজো করা হয়। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালা ও উপবাস রাখার রীতি রয়েছে। তবে অনেকের বাড়িতেই শিবমন্দির, শিবলিঙ্গ স্থাপন করে নিয়মিত পুজো করা হয়। শিবলিঙ্গকে মহাদেবের অন্যতম রূপ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, শিবের আশীর্বাদ পেতে প্রতি সোমবার মহাদেবের পুজো করলে বর পাওয়া যায়। অনেকেই জানেন, শিবঠাকুর অল্পতেই তুষ্ট। বেলপাতা, বেল, ধুতুরা ফুল ও দুধ নিবেদন করলে আশীর্বাদ পাওয়া যায় অফুরন্ত। তবে শিবলিঙ্গ পুজো করার সম্পূর্ণ ফল পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম পালন করা উচিত। মাথায় রাখা উচিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস…
শিবলিঙ্গ কীভাবে রাখবেন?
বাড়িতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করলে, মনে রাখবেন শিবলিঙ্গ যেন সর্বদা উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখা হয়। পাশাপাশি শিবলিঙ্গ যেন কখনও একা রাখা না হয়, দেবী পার্বতী ও গণেশের মূর্তিও সঙ্গে রাখা উচিত।
কিছু পাওয়ার জন্য কী কী করতে হবে?
প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় শিবলিঙ্গের পুজো করা উচিত। পুজোর সময় শিবলিঙ্গে জলাভিষেক বা গরুর দুধ দিয়ে অভিষেক করে বেলপাতা নিবেদন করুন। তাতে ভোলেনাথের সর্বদা ভক্তদের দিকেই থাকে। আশীর্বাদ বর্ষণ হয় সারা বছর।
কী কী মাথায় রাখবেন?
বাড়ির মন্দিরে শিবলিঙ্গ স্থাপিত থাকলে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে আরও বেশি। ভুল করে যেন শিবলিঙ্গে তুলসী পাতা অর্পণ করবেন না। এছাড়া শিবলিঙ্গে হলুদ প্রয়োগ করাও এড়ানো উচিত। হলুদ রঙ শিবের পুজোয় শুভ বলে মনে করা হয় না। ঘরের কোণেও শিবলিঙ্গ রাখা উচিত নয়।
মনে রাখবেন যে শিবলিঙ্গের দিক বারবার বদলানো উচিত নয়। একই জায়গায় স্থাপন করে পুজো করা উচিত। স্থাপন করার পর প্রথমে শিবলিঙ্গকে ঠান্ডা দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো উচিত। এরপরে শিবলিঙ্গের স্থান পরিবর্তন করুন। পাশাপাশি শিবলিঙ্গকে দেওয়া প্রসাদ নিজে গ্রহণ করাও শুভ বলে মনে করা হয় না। এই প্রসাদ অন্যদের মধ্যে বিতরণ করে তারপর নিজে গ্রহণ করুন।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।