আগেই জানিয়েছিলেন আচমকা আধার কার্ড বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন। সোমবার, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের পরেই এই বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে একাধিক জায়গায় হঠাৎ আধার কার্ড বাতিলের চিঠি পাঠায় UIDAI। এই বিষয়ের বিরোধীতা করে প্রধানমন্ত্রী কড়া চেয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেছে বেছে বাতিল করা হচ্ছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের আধার কার্ড! এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে কারণ জানতে চান মমতা।
এদিন আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আধার কার্ড বাতিল হলেও চিন্তা নেই বিকল্প কার্ড দেব রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন। নির্বাচন কমিশনেও যাবে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠি। সেখানে প্রতি ছত্রে ছত্রে বাংলার প্রতি ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ করে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের আধার কার্ড নির্বিচারে নিষ্ক্রিয় করার গুরুতর বিষয়টি আমি আপনার নজরে আনতে চাই।
জানা গিয়েছে, আধার (এনরোলমেন্ট এবং আপডেট) রেগুলেশনস, 2016-এর 28A-এর অধীন কোনও তদন্ত না করে বা কারও সঙ্গে কথা না শুনে এবং রাজ্য সরকারকে অবগত না করে, কারও কারও আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার বিষয়ে জানিয়ে সরাসরি চিঠি দিচ্ছে দিল্লিতে UIDAI-এর প্রধান কার্যালয়।
আশ্চর্যজনক ভাবে আচমকা কার্ডধারীদের কথা বলার কোনও সুযোগ না দিয়েই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা আধার (এনরোলমেন্ট অ্যান্ড আপডেট) রেগুলেশনের রেগুলেশন 29(1) এর চরম লঙ্ঘন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে, আমি তপসিলি ফেডারেশন-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিনিধির চিঠি পেয়েছি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিপুল সংখ্যক লোক তাদের অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক আতঙ্কে রয়েছে।
এই বিষয়ে আমি আপনার কাছ থেকে এই ধরনের হঠাৎ আধার বাতিলের কারণ সম্পর্কে জানতে চাই।
কারণ উল্লেখ না করেই আধার কার্ড বাতিল কি শুধুমাত্র যোগ্য সুবিধাভোগীদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য, নাকি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জনগণের মধ্যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য?
রাজ্যের তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী এবং সমাজের দরিদ্র মানুষের স্বার্থে আঘাত দিয়ে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার এই পদক্ষেপ দেখে আমি সত্যিই হতবাক।
আমি আপনার জ্ঞাতার্থে এই তথ্য জানালাম”।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।