< প্রকাশ্য দিবালোকে বিহারের মাটি মাফিয়াদের নেতৃত্বে হরিশ্চন্দ্রপুর চলছে মাটিকাটা।

প্রকাশ্য দিবালোকে বিহারের মাটি মাফিয়াদের নেতৃত্বে হরিশ্চন্দ্রপুর চলছে মাটিকাটা।

প্রকাশ্য দিবালোকে বিহারের মাটি মাফিয়াদের নেতৃত্বে হরিশ্চন্দ্রপুর চলছে মাটিকাটা।
Spread the love

বিহারের মাটি মাফিয়াদের নেতৃত্বে বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর চলছে মাটিকাটা।

 

দেবাশিস পাল,মালদা:-  প্রকাশ্য দিবালোকে এক মাস ধরে বিহারের মাটি মাফিয়াদের নেতৃত্বে বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা এলাকায় চলছে মাটিকাটা।কেটে নেওয়া হচ্ছে সরকারি খাস জমির মাটিও।বাংলার মাটি দিনের বেলাতেই ট্রাক্টরে করে বিহারে পাচার করা হচ্ছে।প্রশাসনকে জানিয়ে কোন ফল না হওয়ায় শনিবার এলাকার বাসিন্দারা মাটি মাফিয়াদের ট্রাক্টর ও আর্থ মুভার আটকে দেয়।যদিও কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে না জানিয়ে ট্রাক্টর ও আর্থ মুভার কে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর মদতে বিহারের মাটি মাফিয়ারা পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা সরকারি জমি কেটে মাটি বিহারে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী গাররা এলাকায় প্রায় তিন বিঘা জমির একটি সরকারি বিল রয়েছে।সেই বিল থেকে পাঁচ থেকে আট ফিট গর্ত করে মাটি কাটছে বিহারের মাটি মাফিয়ারা আর সেই মাটি ট্রাক্টরে করে বাংলা ও বিহারের ইটভাটা গুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।এলাকাবাসীরা বাধা দিতে গেলে হুমকি দিচ্ছে।মাটি মাফিয়াদের দাবি তাদের কাছে প্রশাসনিক অনুমতি রয়েছে। কিন্তু কি ভাবে বাংলার সরকারের জমিতে বিহারের ব্যবসায়ী মাটি কাটার অনুমতি পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী?যদিও এলাকাবাসীর আপত্তিতে ভ্রুক্ষেপ করেনি মাটি পাচারকারীরা। উল্টো হুমকি দিয়েছে এলাকাবাসীকে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী সম্মিলিত ভাবে একটি আর্থ মুভার ও ছয়টি ট্রাক্টর আটক করে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌছায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামীমা পারভীনের স্বামী মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে ট্রাক্টরগুলিকে ছাড়িয়ে দেন। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা জমিতে মাটি কাটার কাজ চলছে আজহারউদ্দিনের মদতেই। এই মহম্মদ আজহারউদ্দিন এক সময় তৃণমূলের নেতা ছিলেন।পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে সিপিএম এ যোগদান করে।সিপিএম থেকে তার স্ত্রী জিতে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের পঞ্চায়েতে প্রধান হয়েছে। সিপিএম এবং তৃণমূল হাত মিলিয়ে মাটি মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে। সাথে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। অবৈধ মাটিকাটা রুখতে প্রত্যেকটি ব্লকে গঠন হয়েছে ৩ সদস্যের কমিটি।যে কমিটিতে রয়েছেন আইসি, বিডিও এবং বিএলআরও।

প্রকাশ্য দিবালোকে এই ভাবে মাটি কাটা চললেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে? এমনকি গ্রামবাসীরা ট্রাক্টর গুলি আটক করার পরেও ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।যদিও তৃণমূলের দাবি যারা এর পেছনে যুক্ত থাকুক প্রশাসনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। এভাবে বাংলার মাটি বিহারে পাচার হওয়া নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহা দাবি করেন, সরকারি জমি থেকে এই ভাবে মাটি কাটতে পারে না। তিনি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *