অফিসে কাজের সময় অথবা মিটিংয়ে ঘুমিয়ে পড়া অনেকের ক্ষেত্রেই হতে পারে। বিশেষ করে অনলাইন মিটিং শুরু হওয়ার পর ঘুমের প্রবণতা বেড়েছে। দুপুরে খাওয়ার পর মিটিং হলে বেশি ঘুম পায়। অথচ কর্মক্ষেত্রে কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে সক্রিয় থাকা জরুরি। কর্মক্ষেত্রে আপনার কাজের মাত্রা বাড়াতে , কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং মিটিংয়ে ঘুম আসা বন্ধ করতে কয়েকটি টিপস জেনে রাখতে পারেন। যেমন-
১.ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে আপনাকে। এজন্য ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে পরের দিন সতেজ থাকতে পারেন।
২. আপনার প্রতিদিনের রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। দুপুরে খাবারের বিরতির সময় একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
৩. একঘেয়ে কাজ এবং দীর্ঘ মিটিংয়ে সহজেই তন্দ্রা আসতে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য,মিটিং অ্যাজেন্ডাকে ছোট, ছোট অংশে ভাগ করুন।
৪. কাজের মধ্যে ছোট ছোট বিরতি নিন। স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার গ্রহণ করুন।
৫.অফিসে মানসিক চাপ কমাতে অল্প সময়ের জন্য মেডিটেশন বা গভীর শ্বাসের ব্যায়াম করুন। এই অভ্যাস কাজের প্রতি আপনার ফোকাস বজায় রাখতে এবং ক্লান্তি রোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
৬. শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মেনে চলুন।
৭. আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে উদ্দীপিত করে এমন উপাদানগুলি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করুন। যেমন- গাছপালার সান্নিধ্যে যাওয়া,হালকা মিউজিক শোনা, মনোরম ঘ্রাণ, আপনাকে সারাদিন সতর্ক এবং মনোযোগী রাখতে সহায়তা করবে।
৮. মিটিংয়ে নিজেকে সক্রিয় রাখুন। যেমন- নোট নেওয়া, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন। অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিলে নিজের ধারণা, মতামত অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।