আজ, মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হলো, তার সাথেই আকাশছোঁয়া হলো ফলমূলের দাম!
ওয়েব ডেস্ক:- আজ, মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। রমজান মাস ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে। টানা একমাস ধরে মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষজন খালি পেটে আচার পালন করবেন। তবে রোজা রাখার পর বিকেলে নানা ধরনের ফল খাওয়ার রীতি আছে। সেখানে আপেল থেকে শুরু করে আঙুর, কলা, বেদানা, পেঁপে, শশা–সহ নানা ফল পাতে জায়গা পায়। কিন্তু এই রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফলের চাহিদা এবং দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর তার জেরেই রোজা শুরুর প্রাক মুহূর্ত থেকেই ছ্যাঁকা খেতে শুরু করেছেন আমজনতা। দামের ঝাঁঝে খুচরো ফলের বাজারগুলিতে ক্রেতারা পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন। এই আবহে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজনের হাল আরও বেহাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে পকেটে বেশ চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের।
তবে বিক্রেতাদের বক্তব্য, একসপ্তাহ আগেও এই দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল। রমজান মাস শুরু হতেই ফলের দাম যেন আগুন হয়ে গিয়েছে বাজারে। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা হয়। এটাই নিয়ম। ইফতারের থালিতে রাখা হয় নানারকম ফল। সুতরাং ফলের চাহিদা এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগে বাড়ছে দামও। এখন আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে শশার। একসপ্তাহ আগে প্রতি কেজির দাম ছিল ৪০ টাকা।
এখন একধাক্কায় দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকায়। আপেল ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। মাঝারি সাইজের চারটি কমলালেবুর দাম এখন ৫০ টাকা। এখানেই শেষ নয়, তরমুজ ৩৫ টাকা কেজি হয়েছে। আনারস এখন ৭০ টাকা। পাকা পেঁপে ৭০ টাকা কেজি। শাঁক আলুর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। লেক মার্কেটের এক ফল বিক্রেতা বলেন, ‘এখন খেজুরের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে এখন ২০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে খেজুর বিক্রি হচ্ছে। ফলের দাম ছেড়েই দিন। পাইকারি বাজারেই দাম লাগামছাড়া হয়েছে। সেখানে খুচরো বাজারে তো তার প্রভাব পড়বেই।’ তবে এখন গোডাউনে আলু নেই। পেঁয়াজ, আদা, রসুন–সহ কাঁচা সবজির দামও হাতে ছ্যাঁকা লাগার পক্ষে যথেষ্ট।
এছাড়া এই বিশাল দাম দিয়ে ফল কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজনের। লেক মার্কেটে আসা ক্রেতা হাফিজুল সাহেব ফল কিনছিলেন। এক কেজি শশার দাম ৭০ টাকা শুনে পিছু হঠলেন।
কেন এত দাম ভাই? প্রশ্ন করলেন বিক্রেতাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে জবাব পেলেন। বিক্রেতা বলেন, ‘এখন এমনই দাম যাচ্ছে। কোনও কম হবে না। বাজার ঘুরে আসুন। কেউ এর থেকে কমে বিক্রি করছে না।’ এই কথা শুনে হাফিজুল সাহেব ফল না কিনেই চলে গেলেন। তখন পিছন থেকে আর এক বিক্রেতা চিৎকার করে বললেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে শশার দাম ১০০ টাকা হবে।’