সালিশি সভা বন্ধই করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি
রাজারহাট: সালিশি সভায় ডেকে এক প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আক্তার আলি (টুটুন) গাজির বিরুদ্ধে। মারধরের পর প্রভাব খাটিয়ে পুলিসে অভিযোগ জানাতেও না কি বাধা দিয়েছিলেন টুটুনবাবু। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। পরে অবশ্য পুলিসে অভিযোগ হয়। এবার লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনা আটকাতে সালিশি সভা বন্ধই করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পঞ্চায়েত সমিতি। যদিও বিতর্কিত উপপ্রধান টুটুন পঞ্চায়েত সমিতির এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন।
তাঁর বক্তব্য, ‘এর ফলে মানুষের সমস্যার মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এই ক’দিনে সাতটি সালিসি সভা স্থগিত করতে হয়েছে।’ সম্প্রতি রাজারহাট ব্লকের পাথরঘাটা পঞ্চায়েত অফিসে একটি সালিশি সভায় এক প্রবীণকে মারধরের অভিযোগ ওঠে টুটুনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর উপপ্রধানের ‘দাদাগিরি’ সামনে এনে আসরে নেমে পড়েছিল বিরোধীরা। রাজনীতিকদের বক্তব্য, এই ঘটনায় মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। তারপর অবস্থা সামাল দিতে মঞ্চ বেধে তৃণমূল নেতাদের সাফাই পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। তবে টুটুনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তার দল। যা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলেরই অন্দরে।
যদিও সামনে লোকসভা নির্বাচন বলে যে কোনও ধরনের বিতর্ক আটকাতে তৎপর হয়েছে রাজারহাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। সভার নামে আর যাতে নতুনভাবে কোনও বির্তক তৈরি না হয় তার জন্য বন্ধ করা হল সালিশি। ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই অনিদির্ষ্টকালের জন্য সভা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘গ্রাম্য বিবাদ মেটাতে পঞ্চায়েতগুলিকে এখন পুলিসের উপর নির্ভর করতে বলা হয়েছে। সালিশি দু’পক্ষকে নিয়ে হয়। সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত এক পক্ষের পছন্দ নাও হতে পারে। বিচার সভায় দ্বন্দ্ব ঠেকাতেই বন্ধের সিদ্ধান্ত।’
Source by bartamanpatrika.com
সঞ্জু! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।