রাজারহাটের বাগজোলা খালের উপর বিপদ গ্রস্থ আবস্থায় লোহার সেতু !
রাজারহাট: গ্রামীণ রাজারহাটের পাথরঘাটায় কেষ্টপুর- বাগজোলা খালের উপর বিপদ গ্রস্থ আবস্থায় লোহার সেতু। সেতুর লোহার পাতে একাধিক জায়গায় মরচে ধরেছে। ফিকে হয়ে গিয়েছে নীল-সাদা রং। সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ এটি এড়িয়েই চলার চেষ্টা করেন। অবশেষে পাথরঘাটা পঞ্চায়েত এলাকার বালিগড়ি বাগানপাড়ার জরাজীর্ণ সেতুর হাল ফেরাতে উদ্যোগী হল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই)।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাগানপাড়ায় বাগজোলা খালের উপর এই লোহার সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। এটির এক প্রান্তে বালিগড়ি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে চিকিৎসার জন্য রোগীদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হল এই সেতু। বালিগড়ি, লস্করআইট, পাথরঘাটা, ছাপনা ইত্যাদি এলাকার হাজার হাজার মানুষকে নির্ভর করতে হয় এই লোহার সেতুর উপর। কারণ খালের ওপারেই রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত অফিস, বাজার ইত্যাদি।
রাজারহাট পঞ্চায়েত প্রশাসন সূত্রে খবর, বাগজোলা খালের উপর লোহার এই সেতুটি দেখভালের দায়িত্ব পিএইচই’র। এই সেতুর এক পাশ দিয়ে গিয়েছে পিএইচই’র পানীয় জলের পাইপ। তাই এর গুরুত্ব বুঝে বেহাল সেতুটি দ্রুত মেরামতে তৎপর হয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ডেকে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। এই মুহূর্তে কাজ চলছে জোরকদমে। পিএইচই সূত্রের খবর, সেতু মেরামত ও সৌন্দর্যায়নে প্রায় সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। একটু অসতর্ক হলেই পা পিছলে খালের জলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে দেবব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এখন সেতুর উপর দাঁড়িয়ে মরচে ধরা অংশে ঘষা-মাজার কাজ করছেন শ্রমিকরা। দ্রুত নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করে প্রকল্পের কাজ করা হবে’।
Source By bartamanpatrika.com
সঞ্জু! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।