“স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স্কুলে এসে বসে থাকবে? ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?” সোমবারের পরে মঙ্গলবারও হাইকোর্টের রায়ে ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাফ জানিয়ে দেন, সাধ্যমতো কেসটা লড়ব। মানুষের পাশে আছি। চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে মমতা চিন্তিত পঠনপাঠন নিয়ে। তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্কুল থেকে শিক্ষক কোথা থেকে আসবে? BJP-র লোকেরা গিয়ে পড়াবে, না RSS পড়াবে?
এরপরই নাম না করে ‘গদ্দার’ শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর। বলেন, ”বোমা ফাটিয়েছে। অনেক বোমা বানাতে শিখেছিস না! ওই বোমা হজম হবে না। একদিন বুঝবি। বিজেপিতে থেকে দালালি করছিস কেন। সেদিন পুরুলিয়ার চাকরি কে বিক্রি করে দিয়েছিল! নামটা আমি বলব না। আমার ইশারাই কাফি। সব থেকে বড় পুকুর চুরি করেছে যে, তার নাম বড় গদ্দার। কোর্ট কী রায় দেবে জানলি কী করে? এতগুলো চাকরি খেয়ে নিয়ে নাসছিস। একদিন মানুষ বাঁধ ভেঙে দেবে।” এদিন, ভাতারের জনসভা থেকে রায় নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”সরকারি টাকায় চলবে, সরকারি টাকায় খাবে, সরকারি টাকায় সিকিউরিটি নেবে, সরকারি টাকায় সবটাই হজম করবে, আর কী বলবে, এই এক কলমের খোঁচায় বলব যে যাও সকলের চাকরি চলে গেল।” আশঙ্কা প্রকাশ করে মমতা বলেন, ”যাঁদের চাকরি চলে গেল, তাঁরা যদি আত্মহত্যা করেন, সেটার দায়িত্ব কি বিচারপতিরা নেবেন?”
মমতার কথায়, ”আজকে বলুন তো, যাঁরা একতরফা রায় দিয়ে ২৬০০০ ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন, আর কী বললেন, বললেন যে এক মাসের মধ্যে এই আট বছরের মাইনে সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। পারবেন? পারবেন? যাঁরা রায়টা দিলেন, আমি নাম বলছি না, তাঁদের ঘরের যদি কেউ হত!” প্রশ্ন ছুড়ে মমতা বলেন, ”আপনার নিজের ছেলেমেয়ের চাকরিটা চলে গেলে আপনি ভাবতেন না? একবারও ভাবতেন না!” একইসঙ্গে চাকরিহারা প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ”চিন্তা করবেন না। আমরা সাধ্যমতো কেসটা লড়ব। আমরা মানুষের পাশে আছি।”
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।