রাজ্যের BJP র হাত শক্ত করছে সিপিএম আর কংগ্রেস। রাজ্যে বসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রতিটি পদক্ষেপ, বক্তব্য কীভাবে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে, মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে প্রমাণ সহ পেশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে রঘুনাথগঞ্জে জনসভা করেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের কোনও কম্যান্ড যে রাজ্যের নেতাদের উপর নেই, তা স্পষ্ট অধীর চৌধুরীর কার্যকলাপে। বুধবারের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “২ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বিরোধী জোটের বৈঠকে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়ার শপথ নিচ্ছে। একই দিনে ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে মহম্মদ সেলিম অধীর চৌধুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূলের আর আমার বাপ বাপান্ত করছে। কার হাত শক্তিশালী হচ্ছে? বিজেপির হাত শক্তিশালী হচ্ছে।”
এই নিয়ে সভামঞ্চ থেকেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গতবার এই কেন্দ্র থেকে প্রায় আড়াই লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয় পান খলিলুর রহমান। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মিলে প্রায় তিন লক্ষ ভোট কেটে বিজেপির সুযোগ করে দিতে চেয়েছিল। এবার যাতে তার পুণরাবৃত্তি না হয়, পাঁচ লক্ষ ভোটে মা-মাটি-মানুষের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে জেতানোর শপথ আপনাদের নিতে হবে।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যেভাবে সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাকে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি স্পষ্ট তুলে ধরেন, “কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তৃণমূলকে পাশে চাইছে। পাশে বসিয়ে রেখে বলছে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ব। সেখানে অধীর চৌধুরী বারবার বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে লড়ুক। আপনি তো বলছেন না যোগি আদিত্যনাথ থেকে প্রধানমন্ত্রী বা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে আপনার বিরুদ্ধে লড়তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চ্যালেঞ্জ করলে বিজেপির হাত শক্তিশালী হচ্ছে।”
বাম ও কংগ্রেসের শীর্ষ রাজ্য নেতাদের স্বরূপ দেখিয়ে আক্রমণ করেন অভিষেক। মহম্মদ সেলিমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পরিযায়ী নেতা একবার দাঁড়ান রায়গঞ্জে, একবার উত্তর কলকাতায়, একবার মুর্শিদাবাদে।” সেই নেতার সঙ্গে কীভাবে হাত মিলিয়েছেন অধীর চৌধুরী, তার তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের নেতা কাস্তে হাতুড়ি তারা উত্তরীয় পরে হাতে লাল ঢান্ডা নিয়ে মিছিল করছে। আর নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কাস্তে হাতুড়ির সঙ্গে মিশে গেছে হাত। অধীর চৌধুরীও খাচ্ছে সাঁইবাড়ির রক্তমাখা ভাত।”
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।