CAA Application : আবেদন করবেন কোথায়? আর কত খরচ? না জানলেই মিস
ওয়েব ডেস্ক:- সিএএ কার্যকর হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। লোকসভা ভোটের মুখে বিরাট পদক্ষেপ মোদী সরকারের। এদিকে বলা হচ্ছে কাল থেকেই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সেই সঙ্গেই আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট ফিজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নাগরিকত্ব পেতে গেলে আপনাকে কত টাকা খরচ করতে হবে সেটাও জেনে নিন।
আইনের ৫ ধারা অনুসারে আপনি ভারতের নাগরিকত্বের রেজিস্ট্রেশনের জন্য় আবেদন করতে পারেন। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্য়ালঘু শ্রেণি এই আবেদন করতে পারবেন। সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রীষ্টানরা এই আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময় ১০০ টাকা দিতে হবে। সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেশন মঞ্জুর হলে ১০০ টাকা দিতে হবে। উপরে যাদের কথা বলা হল তাদের বাইরে কেউ থাকলে তাঁরা যদি আবেদন করতে চান তবে তাঁদের জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে। সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেশন মঞ্জুর করা হলে তাঁদের ৫০০০ টাকা দিতে হবে। CAA Application
এছাড়াও কত টাকা কোন খাতে কাদের লাগবে সেই সংক্রান্ত তথ্য় আপনি Citizenshiponline.nic.in এখানে গিয়ে পেতে পারেন।
আইন পাস হওয়ার চার বছর পরে দেশজুড়ে কার্যকর করা হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। অনলাইনে নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করা যাবে। অন্তত সাত রকমে ফর্ম মিলবে অনলাইনে। শিশুদের ক্ষেত্রে রয়েছে আলাদা ফর্ম। আবার বাবা অথবা মা কেউ ভারতীয় সেই ভিত্তিতে যাঁরা ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্য় আবেদন করতে চান তাঁদের জন্য আলাদা ফর্ম থাকবে।
সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালের মাধ্য়মে এই আবেদন করতে হবে। বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় নিয়েছিলেন ও ভারতে ৫ বছর থাকলেই তারা এই ভারতের নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করতে পারবেন। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই দাবি করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর লোকসভা ভোটের মুখেই সিএএ নিয়ে বড় ঘোষণা করা হল।
তবে নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করার গোটা পদ্ধতিটাই অত্যন্ত সরল করা হয়েছে। অর্থাৎ যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই এই আবেদন করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে এই নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করতে পারবেন। তবে ভোটের মুখে এই ঘোষণা বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাও দেখার।
সঞ্জু! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।