আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় রাজ্যের তিন আসন Cooch Behar, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট গ্রহণ হবে। তার আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে কমিশনকে চিঠি দিয়ে ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। উদয়ন গুহ যেন ভোটের দিন নিজের বুথ এলাকার বাইরে বেরোতে না পারেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মেই আর্জি জানিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এবং সেই আবাদনে সাড়াও দিয়েছে কমিশন। উদয়ন গুহের গতিবিধি ভোটের দিন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিল কমিশন।
ফলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই চলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইডি, সিবিআই যেমন বিজেপির শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে, ভোটের ময়দানে কমিশনের ভূমিকাও সেইরকম। কমিশনের কাছে বিজেপি আবদার করলো, আর কোনও কিছু বিবেচনা না করে বা উদয়ন গুহকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নিশীথের আবদার মেটালো কমিশন।
আগামিকাল ভোটের দিন তাঁকে “নজরবন্দি” করা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে উদয়ন গুহ বলেন, “আমি কোনও অর্ডার পাইনি। আমাকে কমিশন আগে কোনও সতর্ক করেনি। বিজেপি প্রার্থী আবদার করল আর কমিশন সাড়া দিল। কমিশনের কাছে আমার একটা আবেদন আছে, এখনই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে আমার ও নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি তল্লাশি করা হোক। আমি স্বেচ্ছায় এই প্রস্তাব দিচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, গতকাল, বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থী কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়ার পর রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন পাল্টা নিশীথের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। উদয়নের দাবি, তিনি নিজেই আক্রান্ত। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর নিশীথ প্রামাণিকের গুণ্ডা বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে টার্গেট করেছে।
উদয়ন গুহের আরও দাবি, ভোট ঘোষণার পর থেকে তাঁকেই একাধিক বার আক্রান্ত হতে হয়েছে। তাঁর উপর হামলা হয়েছে। আর তাঁকেই “নজরবন্দি” করা হচ্ছে! নিশীথের চিঠির প্রেক্ষিতে উদয়নের বক্তব্য ছিল, ‘‘আসলে ওর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ভয় পাচ্ছে। সেটা বুঝে এখন এমন অবান্তর সব অভিযোগ করছেন।’’ উদয়নের আরও দাবি,‘‘আসলে আমিও চাই আমাকে গৃহবন্দি করুক। তার প্রতিক্রিয়াটা কী হয় দেখতে পাবে ওরা। আসলে এ সব করে ভোট লুটের পরিকল্পনা হচ্ছে। কারণ, আমি উপস্থিত থাকলে এ সব হবে না। তবে ভয় নেই, ভোটের দিন হাজার উদয়ন গুহ রাস্তায় থাকবে।’’
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।