এই বাংলায় সৌজন্য রাজনীতির “ব্র্যান্ড আম্বাসডর” বলা হয় অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেবকে। রাজনীতির ময়দানে বরাবরই তিনি “ঘৃণা ভাষণ” থেকে শতযোজন দূরে! এবার লোকসভা ভোটেও ঘাটাল থেকে জোড়া ফুলের প্রার্থী হয়েছেন দেব। নিজের কেন্দ্রের পাশাপাশি তারকা ইমেজকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রেও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিটিং, মিছিল, রোড-শো করছেন দেব।
গতকাল, মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে প্রচারে ঝড় তুলেছেন দেব। মঙ্গলবার বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর হয়ে প্রচারে কুশমন্ডিতে যান দেব ( DEV )। তবে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে।
দেব বলেছিলেন, “আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছে যারা বিজেপিতে আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম নাম হচ্ছে সুকান্তদা। আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা। মন থেকে সুকান্ত মজুমদারকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, কে জিতবে কে হারবে ৪ তারিখ দেখে নেব।”
অন্যদিকে, সুকান্তর মুখেও সেদিন শোনা গেল দেবের প্রশংসা। বললেন, “দেব খুব ভাল ছেলে। দেব এরকম বলেছে। বেচারা চাপে পড়েছে। দেবের ওখানে দেবকে খারাপ বলব না, তৃণমূলকে বলব।” সুকান্ত আরও বলেন, ”দেব খুব ভাল ছেলে, বেকায়দায় পড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে”!
এই প্রসঙ্গে বুধবার কালিয়াগঞ্জে রোড-শো করতে গিয়ে ফের দেব বললেন, “উনি একটা দল করেন, তাই হয়ত ওর কাছে অন্য সব দলই খারাপ। কিন্তু আমার কাছে , দল নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, নিজের কর্মটা!”
সুকান্ত মজুমদার তাঁর জবাব দিয়েছেন। ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরক বাস। সুকান্ত মজুমদার এমন একটা দলে রয়েছেন, যেখাবে ৫ বছর সাংসদ থাকার পরও তাঁকে না রাজ্য পুলিশ ডাকতে পেরেছে, না কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তৃণমূল কংগ্রেসও একবারও বলতে পারেনি সুকান্ত মজুমদার চোর। আর দেব ভাল ছেলে হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকছে। কেন না অভিযোগ তাঁর সিনেমায় গরু পাচারের টাকা ব্যবহার হয়েছে। তৃণমূল না করলে দেবের মতো সুপারস্টারের বিরুদ্ধে এমনটা অভিযোগ উঠত না’ এই প্রসংশা, কটাক্ষর মধ্যে বেঁচে রইল সৌজন্যের রাজনীতি।
সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে দেবকে বাড়িতে চা-ও খেতে ডাকেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি দেবকে আমার বাড়িতে ঘুরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। আমার মতো গরিবের বাড়িতে ও এসে চা খেলে খুশি হবো। আমি তো বড় ফ্ল্যাটে থাকি না।” দেব তাঁর প্রতিক্রিয়াতে বলেন, “বিপ্লবদা জিতে যাওয়ার পর কথা দিলাম আমি বালুরঘাটে আসবো। তবে তখন বিপ্লবদা নয়, প্রথমে গিয়ে সুকান্তদার বাড়িতে চা খাবো। তারপর বিপ্লবদার বাড়িতে গিয়ে লাঞ্চ করব।”
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।