বর্তমান সময়ে যে হারে ইলেকট্রিক স্কুটার সেগমেন্টের গ্রোথ হচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে টু-হুইলার মার্কেটে রাজত্ব করবে ইলেকট্রিক স্কুটার। বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির বাজারে অনেকের পক্ষেই পেট্রোল বা ডিজেলের অতিরিক্ত খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবেশবান্ধব এই মডেলগুলি বহু মানুষের খরচ বাঁচাচ্ছে। আর সেই কারণে বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। ইলেকট্রিক স্কুটারের বেশ কিছু স্টার্ট আপ কোম্পানি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা কথা বলব একটি নতুন ইলেকট্রিক স্কুটারের সম্পর্কে। জেনে নিন বিস্তারিত।
আপনি কি নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার কিনতে চাইছেন? তাহলে Gemopai Ryder কিনতে পারেন। আপনার কাছে যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলেও কোন সমস্যা নেই। এটি কিনতে রেজিস্ট্রেশন আর চালাতে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। এই মডেলে এডভান্স ফিচার যুক্ত করেছে কোম্পানি। এটি 120 কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম।
Gemopai Ryder ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি ও মোটর
এই ইলেকট্রিক স্কুটারে 48 ভোল্টের 26Ah শক্তির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হয়েছে। এটি চার্জ হতে 3 ঘন্টা থেকে 4 ঘন্টা সময় নেয়। একবার সম্পূর্ণ চার্জ হলে Gemopai Ryder ইলেকট্রিক স্কুটার 120 কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে। এছাড়া কোম্পানির তরফ থেকে এই মডেলে শক্তিশালী মোটরের ব্যবহার করা হয়েছে। দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেওয়ার জন্য এতে রয়েছে 250 ওয়াটের মোটর। এই মোটরে আপনারা 3 বছরের ওয়ারেন্টি পেয়ে যাবেন। Gemopai Ryder প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ 25 কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।
Gemopai Ryder ইলেকট্রিক স্কুটারের ফিচার্স
এই মডেলে আধুনিক ফিচারের ব্যবহার করা হয়েছে। এতে আপনারা USB চার্জিং পোর্টের সুবিধা পেয়ে যাবেন। এছাড়া এতে রয়েছে ট্রিপ মিটার, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, পুশ স্টার্ট বাটন সহ বিভিন্ন ফিচার।
লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে চালাতে পারবেন Gemopai Ryder?
এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি চালানোর জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। এটি 18 বছরের কম বয়সী ছাত্র-ছাত্রীরাও চালাতে পারবে। এই কারণে মডেলটির সর্বোচ্চ গতিবেগ 25 কিলোমিটার/ ঘন্টা রাখা হয়েছে। আর নিয়ম অনুযায়ী, এই গতিবেগের টু-হুইলার চালাতে লাইসেন্সের দরকার পড়ে না। 25 কিলোমিটার/ ঘন্টা গতিবেগ পার করলেই একমাত্র লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়।
Gemopai Ryder এর দাম
এই মডেলটির দাম 70 হাজার 850 টাকা থেকে 84 হাজার 300 টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে।
gemopai ryder
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।