Jagadhatri Today Episode :
এতদিন পিতৃপরিচয়ের অভাবে ভুগতে হতো, আর এখন মাতৃ পরিচয়ের জন্য ভুগতে হবে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীর (Jagaddhatri) নায়ক স্বয়ম্ভুকে। শুরু থেকেই দর্শকরা দেখে এসেছেন স্বয়ম্ভুকে তার বাবার পরিচয় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই জগদ্ধাত্রী তার জীবনে এসেছিল। সেটা পেতে না পেতেই ফের নতুন সংকটে পরল তারা। বর্তমানে টিআরপি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে এই ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, হঠাৎ করেই জগদ্ধাত্রীর সুখী দাম্পত্য জীবনে অবাঞ্ছিত অতিথির মতন এসে জুড়ে বসেছে উত্তীয় মুখার্জী। অনেক কষ্টে তিলে তিলে গোছানো সম্পর্ক গুলোকে আবার নষ্ট করে দিচ্ছে এই ব্যক্তি। এদিকে জগদ্ধাত্রীর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে গিয়েছে তার জীবনের এক অন্যতম বড় শত্রু উত্তরবঙ্গের দেবু। আর এই বিষয়টাই তার জীবনে নতুন করে ঝড় তুলতে চলেছে। এত লড়াইয়ের মাঝে একটা সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়াটাই তার কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জগদ্ধাত্রীর লুকোনো সত্যি জেনে গেলো দেবু!
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, জগদ্ধাত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না সে। তার মনে পড়ে যাচ্ছে ডাক্তারের বলা কথা গুলো। সে ঠিক করে আর দেরি করা যাবে না। তাড়াতাড়ি তাকে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে। বাইরে থেকে এই সবটাই দেখতে থাকে দেবু। এই অস্বাভাবিক মাথা যন্ত্রণার বিষয়টা বেশ ভাবিয়ে তোলে দেবুকে। সত্যিটা জানতে উদ্যত হয় সে।
উর্মিলার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করলো কালবস মামা!
এদিকে কালবস মামার কাছে চলে আসে রাজনাথ। সে জেরা করতে শুরু করে উর্মিলার ভাইকে। কারণ তাকে সবটা জানতেই হবে। তার কাছে আর জন্য কোনো উপায় নেই নিজেকে শান্ত করার। কালবস মামা বলেন, “সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ওর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তারপর ওকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয় আর তারপরেই মারা যায় উর্মিলা। যেনো ওকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মারার জন্যই।” সব শুনে অবাক হয়ে যায় রাজনাথ।
অন্যদিকে উত্তীয় মুখার্জী জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। সে বলে তার একটা কেস তাকে মীমাংসা করতে হবে। তারপর সে উর্মিলা মুখার্জীর বিষয়টাই জগদ্ধাত্রীকে বলে। জগদ্ধাত্রী জিজ্ঞেস করে এতে তার লাভ কী? সে কেনো এসব খোঁজ করছে? তখন উত্তীয় মুখার্জী জানায় রহস্যের সমাধান করতে করতে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে। এটাও প্রমাণ হবে যে স্বয়ম্ভু মুখার্জী উর্মিলা আর রাজনাথ মুখার্জীর সন্তান নয়। এটা শুনে প্রচন্ড রেগে যায় জগদ্ধাত্রী।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।