বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণের শৈশব-স্মৃতি, সখা-সখীদের সাথে দোলনায় দোলার লীলাবিলাসকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে ঝুলন-উৎসবের সূচনা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি হিন্দুদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে পরিণত হয়। অমাবস্যার পরের একাদশী থেকে শ্রাবণী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে ঝুলন-পূর্ণিমা বা ঝুলনযাত্রা ( Jhulan Yatra )। ছোট থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রাধা কৃষ্ণের লীলাবিলাসকে তুলে ধরতে টালিগঞ্জের স্বামী প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রাতঃ বিভাগে অনুষ্ঠিত হল ‘ঝুলন উৎসব’। উৎসবের সূচনা করেন স্কুলের সেক্রেটারি ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্নাসী স্বামী সংঘাত্মানন্দজি মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন স্বামী প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রাতঃ বিভাগের প্রিন্সিপাল সুপ্রিয়া তালুকদার, দিবা বিভাগের প্রধানের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মৌসুমী গোস্বামী।
স্বামী সংঘাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, রাধাকৃষ্ণের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষণীয় বিষয় আছে। ছোট থেকে ছাত্রছাত্রীদের সে ব্যাপারে উৎসাহিত করতেই এ বছর থেকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্কুলে এই ঝুলন-উৎসব শুরু হল। দুই প্রধানা শিক্ষিকা জানান, ঝুলনযাত্রার মত ভারতীয় নানা অনুষ্ঠান যাতে আধ্যাত্মিকতা মিশে থাকে সেসব থেকে ছাত্রছাত্রীরা পুরাণ ও ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। প্রাতঃ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন লীলা হস্তশিল্পের মাধ্যমে অপূর্ব ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যা তাদের শুধু ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে সচেতন করেছে তা নয়, তাদের মধ্যে শিল্প ভাবনাও ফুটিয়ে তুলেছে।
সপ্তর্ষি সিংহ! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।