সপ্তর্ষি সিংহ: ভারতের ফার্মাসিস্টদের একটি সংগঠন অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেসন অফ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অফ এসোসিয়েশনের অধীনে বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী জেনারেল স্টোর ও গ্রশারি স্টোরে ওটিসি ড্রাগ বিক্রির অনুমতির বিষয়ে তীব্র বিরোধীতা করেছে। এই বিষয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শঙ্খ রায়চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সজল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু নির্বাচন চলছে তাই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছি না। আমরা আশাবাদী ভোট মিটলে এই বিষয়ে সুরাহা হবে। মূলত ৪০০ কম্পোজিসনের ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগস জেনারেল স্টোর ও গ্রশারি ষ্টোরে বিক্রি হলে ১২.৪০ লক্ষ রিটেইল কেমিস্ট ব্যবসায় ছেদ পড়বে। সেক্ষেত্রে ওষুধ ( Medicines ) ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হব।
এই বিষয়ে সজলবাবু বলেন, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে সেন্ট্রাল ড্রাগ অর্গানাইজেশনকে ৮ জনের একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে। সেখানে বিসিডিএ-কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
ওষুধের দোকানে ছাড় নিয়ে যে অসম লড়াই সেই প্রসঙ্গে শঙ্খ বাবু বলেন, ওষুধে ছাড় পাওয়ার জন্য গ্রাহকরা ভুল ওষুধ কিনছেন। যা ক্ষতিকর! পাশাপাশি, অনলাইন থেকে ওষুধ না কেনার পরামর্শ দেন কারণ এখানে কোনও ফার্মাসিস্ট নেই। একইসঙ্গে অসাধু ওষুধ বিক্রেতাদের প্রসঙ্গে এদিন জানান, যারা ওষুধ ব্যবসায় জালিয়াতি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সংগঠনের পক্ষ থেকে লাইসেন্স বাতিল করতে আমরা প্রস্তুত।
ওষুধের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সজলবাবু জানান, বিসিডিএ পক্ষ থেকে আমাদের দাবি সব সংস্থার ওষুধের দাম কেন এক হবে না? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওষুধে জিএসটি তুলে দেওয়ার বিষয়ে একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন শঙ্খবাবু উল্লেখ করেন, এরাজ্য ওষুধ ব্যবসায় ভারতে তৃতীয় স্থানে। সংগঠনের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম ও যশোর রোডে ২টি ফার্মাসিটিক্যাল কলেজ তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির ফলে ফার্মাসিস্টরা ভবিষ্যতে কি করবে? সেই প্রশ্ন তোলেন।
এর পাশাপাশি, সঠিক ওষুধ বিক্রি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনিক স্তরে নজরদারি বিষয়ে একটি সার্কুশ্লেশন জারি করেছে। এই সার্কুলারের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ এই নজরদারিতে ড্রাগ কন্ট্রোল ভিজিল্যান্স কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। অবিলম্বে যেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সঞ্জু! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।