আজ আইএসএল -এর প্রথম লেগের সামিফাইনালে নামছে Mohun Bagan সুপার জায়ান্ট। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফশি। চলতি মরশুমে এই নিয়ে পাঁচ নম্বর দ্বৈরথ হতে চলেছে মোহনবাগান ও ওড়িশা এফসি-র মধ্যে। আজ, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ম্যাচ। দিমিত্রি পেত্রাতোস, রয় কৃষ্ণাদের দ্বৈরথে মাঠের বাইরে দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াইও নজর কাড়তে পারে। মোহনবাগান সারথি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস এবং ওড়িশার হেড কোচ সার্জিও লোবেরা তাঁদের রণকৌশল দিয়ে বাজিমাত করে ২৮ এপ্রিল যুবভারতীতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নামতে চাইবেন। কিন্তু ধারে-ভারে এবং আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে মোহনবাগান এগিয়ে থেকে নামছে এই ম্যাচে। কারণ, সদ্য হাবাসের দল আইএসএল লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তবে লোবেরার ওড়িশা বিপজ্জনক দল। সব থেকে বড় ব্যাপার, এবারের আইএসএলে দু’দলের সাক্ষাৎ দু’বারই অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। তার আগে এই মরশুমেই এএফসি কাপে দু’বার দেখা হয়েছিল তাদের। যার মধ্যে প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে একবার করে জয় পেয়েছিল তারা। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মঙ্গলবার নতুন লড়াইয়ের আগে কারও এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকার কথা নয়। তাই সেমিফাইনালে দু’দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
মোহনবাগান দল সোমবার সকালেই ভুবনেশ্বর রওনা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ছ’টা থেকে স্থানীয় ক্যাপিটাল ফুটবল এরিনার মাঠে চূড়ান্ত প্রস্তুতিও সেরে নেন দিমিত্রি, মনবীর সিংরা। স্বস্তির খবর, সম্পূর্ণ ফিট সাহাল আব্দুল সামাদ দলের সঙ্গেই গিয়েছেন। তিনিও ভুবনেশ্বরে দলের সঙ্গেই অনুশীলন করেছেন। মঙ্গলবার তাঁকে শুরু থেকে খেলাতে পারেন হাবাস। সুস্থ হয়ে দলের সঙ্গে গিয়েছেন বাগানের স্প্যানিশ বস। ক্লোজড ডোর প্রস্তুতিতে কৃষ্ণা দিয়েগো মরিসিওদের থামানোর রণকৌশল সাজিয়ে মহড়া সারেন হাবাস। ফুটবলারদের তিনি বুঝিয়ে দেন, কার কী দায়িত্ব। হাবাসের প্রাক্তন ছাত্র কৃষ্ণা। ওড়িশা আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্র। ফিজির স্ট্রাইকারকে জোনাল মার্কিংয়ে রাখতে পারে মোহনবাগান। মাঝমাঠে আহমেদ জাহুকে নিষ্ক্রিয় রাখতে জনি কাউকো, অনিরুদ্ধ থাপাদের উপর বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছেন হাবাস। আর কৃষ্ণা-মরিসিও জোড়া ফলাকে অচল করার দায়িত্ব থাকবে হেক্টর ইউস্তে, আনোয়ার আলি, শুভাশিস বোসদের উপর।
এই ম্যাচের আগে হাবাস বলেছেন, ‘‘অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবছি না। ওড়িশা যথেষ্ট ভাল দল। ওদের একজন ভাল কোচ আছে, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন হতে চলেছে।’’ যোগ করেন, ‘‘৯০ মিনিটেই ম্যাচটা জিততে হবে আমাদের। এখনই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ নিয়ে ভাবার সময় নেই। প্রথম লেগে জেতাটা বেশি কঠিন। এই ম্যাচটাকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই খেলতে হবে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। জেতাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’
ভুবনেশ্বরের গরম চিন্তায় রাখছে হাবাসকে। কলকাতার থেকেও গরম বেশি।সন্ধ্যায় ম্যাচ হলেও বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে বেশি। ফুটবলারদের ক্লান্তির সমস্যা হতে পারে।যদিও এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ বাগান কোচ। অজুহাত দিতে রাজি নন হাবাস। বলেছেন, ‘‘দুটো দলকেই একই পরিবেশে খেলতে হবে। আমাদের কৌশল ও টেকনিকে জোর দিতে হবে।’’
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।