Neem Fuler Modhu Today Episode :
লোভী মানুষদের জীবনে অনেক দুঃখ থাকে। নিজের লোভ সামলাতে না পারায় অনেক সময় নিজের কাছের মানুষদের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলে তারা। জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Fuler Modhu) ধারাবাহিকের নেতিবাচক চরিত্র মৌমিতা এবার ঠিক সেটাই করেছে। নিজের লোভ চরিতার্থ করার জন্য নিজের ছেলেকে বিপথে ফেলে দিয়েছে। প্রথমে সমস্ত দোষ ধারাবাহিকের নায়িকার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে পুঁটির বয়ানে সবটাই প্রমাণিত হয়।
বর্তমান গল্প অনুযায়ী, পর্ণা আর সৃজন বুবাইয়ের কাছ থেকে কোন কথাই বের করতে পারে না। পুঁটির কথায় অনেকটা বিষয় স্পষ্ট হয় পর্ণার কাছে। তবে পুরোপুরি বিষয়টাকে বুঝতে গেলে তাদের অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে। অয়ন মৌমিতার মাথার উপর থেকে হাত তুলে দিয়েছে ইশা তাই এখন একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে পর্ণা। সে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে আসল সত্যিটাকে টেনে বের করে আনার। আর সেটা করতেই এইবার এক মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়েছে পর্ণা।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, পর্ণা সিসিটিভি ফুটেজটা দেখা মাত্রই চলে যায় পুলিশ স্টেশনে। সেখানে গিয়ে ওই ছেলেটির বিষয়ে সমস্ত কিছুই জানতে পারে সে। ছেলেটি বারবার চুরির দায়ে জেল খেটেছে এই খবরটাও পুলিশ তাকে জানায়। এইবার ঘোতনকে খুঁজতে পর্ণা সৃজন চয়ন এবং পুলিশ চলে যায় ছেলেটির বাড়িতে। কিন্তু ছেলেটির মাও পাক্কা ধরিবাজ মহিলা। সে কিছুই বলতে চায় না। কিন্তু সেখানেই একটা ড্রয়ারে বেশ কিছু পাত্রীর ছবি এবং পাত্রী চাই এর বিজ্ঞাপন দেখতে পায় পর্ণা। এরপর ছেলেটাকে না পেয়ে তারা সবাই ফিরে আসে।
ঘোতনকে সাহায্য করছে ইশা
অন্যদিকে ঘোতন চলে যায় ইশার কাছে। এই সময় যদি একজন মন্ত্রীর হাত মাথার উপর থাকে তাহলে তাকে খুঁজে পাওয়া অনেকটাই দুষ্কর হয়ে যাবে। আর এমনটা হলে সাজা হবে বুবাইয়ের আর বেঁচে যাবে ঘোতন। ইশা যখনই জানতে পারে ছেলেটা দত্ত বাড়ির ছেলে তখনই সে ঘোতনকে সাহায্য করার ব্যাপারে রাজি হয়ে যায়। এদিকে সুইটির কাছে গিয়ে তাকেও নিজের দলে টেনে নেয় ইশা। সে ভাবে এইবার পর্ণার গোটা জীবনটাই সে নিয়ন্ত্রণ করবে।
ঘটক সাজবে কৃষ্ণা!
পর্ণা আর সৃজন ছেলেটার ব্যাপারে সবকিছু জেনে আসে। পর্ণা জানায়, “ওই ছেলেটা চার বছর ধরে পাত্রী খুঁজছে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু ছেলেটার চালচুলো নেই বলে এবং সে একটা জোচ্চোর বলে তার হাতে কোন পরিবার মেয়ে দিতে চায় না। ওকে যদি ধরতে হয় তাহলে পাত্রীর টোপ দিতে হবে। আর তার জন্য মাকে ঘটক সাজতে হবে।” প্রথমে বিষয়টাতে রাজি হতে না চাইলেও পরবর্তীতে যখন সে সবটা শোনে তখন বাড়ির সবাই বিষয়টা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে থাকে।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।