< Sandeshkhali Case : বিজেপি নেতার গোপন ভিডিও ঘিরে বাড়ছে রহস্য ! সন্দেশখালির গোটা ঘটনা সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক ?

Sandeshkhali Case : বিজেপি নেতার গোপন ভিডিও ঘিরে বাড়ছে রহস্য ! সন্দেশখালির গোটা ঘটনা সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক ?

ডেস্ক : সন্দেশখালিতে সাজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মহিলার ওপর নারকীয় অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে বারেবারেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোট প্রচারে সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা রাজ্যজুড়ে তুলে ( Sandeshkhali Case ) ধরছেন বিজেপির নেতৃত্বরাও। কিন্তু গোটা ঘটনাটি কি সাজানো? এর পেছনে কি রয়েছে গোপন রাজনৈতিক অভিসন্ধি? সন্দেশখালির এক বিজেপি নেতার গোপন ভিডিও ফাঁস হতেই শুরু হয়েছে জোরাল বিতর্ক।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রকাশিত ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি স্বীকার করে নিচ্ছেন, ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগ সাজানো হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। ভিডিয়োতে তাঁকে সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিজেপির ‘মণ্ডল সভাপতি’ গঙ্গাধর কয়াল বলে পরিচিত করানো হয়েছে।

 

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রশ্নকর্তা গঙ্গাধরকে বলছেন, ‘‘দাদা, তোমরা কী লেভেলের কাজ করেছ, বুঝতে পারছ? ধর্ষণ হয় নাই, তাকে ধর্ষণ বলে চালিয়েছ! তোমার বাড়ির বৌকে দিয়ে এই কাজ করাতে পারতে? আমরা তো পারব না।’’ এই প্রশ্ন শুনে সম্মতিসূচক হাসি হেসেছেন গঙ্গাধর। ‘‘কী ভাবে ওদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করালেন?’’ উত্তরে গঙ্গাধর বলেন, ‘‘শুভেন্দুদার নির্দেশেই আমরা এই কাজ করেছি। উনি আমাদের সাহায্য করেছেন। শুভেন্দুদা বলেছেন, এটা না করলে, তাবড় তাবড় লোকদের গ্রেফতার করানো যাবে না। আমরাও ওখানে দাঁড়াতে পারব না।’’

 

দেখা যাচ্ছে, গঙ্গাধর একটি ঘরে চেয়ারে বসে আছেন। কেউ বা কারা তাঁকে সন্দেশখালির ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন করে চলেছেন। তিনি আড্ডার ছলে প্রশ্নকর্তার সঙ্গে কথা বলছেন। বার বার উঠে আসছে শুভেন্দুর নাম। গঙ্গাধর বলছেন, ‘‘এই আন্দোলন এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছে। শুভেন্দুর আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দু এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ ভিডিয়োতে গঙ্গাধরকে শুভঙ্কর গিরি নামের এক জনের নাম নিতে শোনা যায়। বলেন, ‘‘শুভঙ্কর ছেলেটা ভাল ছিল। কিন্তু টাকার গোলমালের জন্য ও পরে হঠে গেল।’’ শুভেন্দুর পিএ পীযূষও সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন গঙ্গাধর। জানান, শুভঙ্করই গ্রামবাসীদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করেছিলেন।

 

অসত্য ধর্ষণের অভিযোগ লেখাতে কী ভাবে রাজি হলেন মহিলারা? গঙ্গাধর বলেন, ‘‘আমরা যা বলেছি, ওরা শুনেছে। কেউ না করেনি। ওদের বলেছিলাম, যদি আপনারা অভিযোগ না লেখান, তা হলে আপনাদের এই আন্দোলন সফল হবে না। এখানে আপনাদের টিকতেও দেবে না।’’ রেখা প্রথমে অভিযোগ দায়ের করার পরে তাঁকে দেখে বাকিরাও সাহস পান বলে জানিয়েছেন গঙ্গাধর।

 

তথ্যসূত্র – আনন্দবাজার অনলাইন  Sandeshkhali Case

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *