Money Making Tips: আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে এখন অনেক টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে কোন চাষ আপনি করবেন তা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হয়। ধান, বাদাম বা অন্যান্য বিভিন্ন গাছের চাষ করে আয় করা যায় তবে বর্তমানে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে অনেকে সূর্যমুখী চাষ করছেন। যা বেশ ভালো লাভজনক বলে পরিচিতি লাভ করেছে।
ধান চাষ করে চাষীদের আয় সেরকম নেই বললেই চলে তাই এখন প্রায় সবাই বিকল্প আয় হিসেবে অন্য কিছু চাষ করতে চাইছে। ধান চাষে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয় সেই তুলনায় আয় অনেক কম।
সম্প্রতি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সকলের নজর কেড়েছেন এক চাষী। এই চাষের মাধ্যমে বেশ কয়েক মাসের মাধ্যমেই তিনি ভালো লাভ করেছেন। তিনি হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বাসুটিয়া এলাকায় পিন্টু কুমার বেরা নামক একজন চাষী। তিনি ধান চাষের পাশাপাশি তার প্রায় ১০ ডেসিমেল জায়গাতে বিকল্প চাষ হিসেবে সূর্যমুখী (Sunflower) চাষ করেছেন।
এই দশ ডেসিমেল জায়গাতে প্রায় এক হাজারটি ফুল ফুটেছে। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুল থেকে অনেক কিছুই করা যায়। প্রথমত এ ফুল বাজারে বিক্রয় হয় এবং এর থেকে এক প্রকার তেল উৎপন্ন করা হয় এছাড়াও সূর্যমুখীর প্রাপ্ত বীজ বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রয় হয়।
পিন্টু কুমার বেরা নামক ওই চাষী জানিয়েছেন যে দশ ডেসিমেল জায়গাতে তার এই সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা। চাষের পর মাত্র তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ফলন দিতে শুরু করে এই গাছ। পরিচর্যা হিসেবে মাত্র একবার থেকে দুইবার ঔষধ ও সার দিলে গাছগুলো সতেজ হয়ে যায়।
সামান্য পরিচর্যা করে মাত্র দশ ডেসিমেল জায়গাতেই ৭০ কেজি পর্যন্ত সূর্যমুখী বীজ পাওয়া সম্ভব। আর এই বীজ থেকে সূর্যমুখী তেল পাওয়া যাবে প্রায় ৩০ কেজি মত। এই তেলের মূল্য প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা।
এবার আপনি যদি বিঘা প্রতি সূর্যমুখী (Sunflower) ফুলের চাষ করেন তাহলে আপনার এই লাভের পরিমাণ বেড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার খরচের দিক দেখতে গেলে অনেক কম। কুড়ি থেকে ২৫ বিঘা জমিতে আপনি যদি সূর্যমুখী চাষ করেন সেখানে আপনাকে মাত্র তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ করতে হবে সে হিসেবে আপনার লাভের অংক অনেকটা বেশি।
তাই আপনি যদি ধান চাষের পরিবর্তে বা পাশাপাশি এই সূর্যমুখী ফুল চাষ করেন তাহলে আপনার লাভের অংক বেড়ে যাবে। তাই বিকল্প চাষ হিসেবে এই সূর্যমুখী ফুল চাষের কথা ভেবে দেখতে পারেন।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।