The future of newspapers under the influence of digital media

The future of newspapers under the influence of digital media

ডিজিটাল মিডিয়ার দাপটে সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি কলকাতার উইমেন্স ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের উদ্যোগে ” ডিজিটাল মিডিয়ার দাপটে সংবাদপত্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং বিনোদন সাংবাদিকতা” বিষয়ে এক আলোচনা সভা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ” সুখবর” এর সম্পাদক শমীকস্বপন ঘোষ, অতিথি ছিলেন সাংবাদিক সৈকত হালদার আর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ড.অজন্তা পাল। কলেজের অধ্যক্ষের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এদিনের আলোচনা শুরু হয়। সুখবর এর সম্পাদক শমীক স্বপন ঘোষ বলেন, “প্রথম যখন টেলিভিশন আসে তখন ও এই প্রশ্ন এসেছিল।

ফের এখন ডিজিটাল মিডিয়ার দাপটে সংবাদপত্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচার। ডিজিটাল মিডিয়া কখনো সংবাদপত্রের বিকল্প হতে পারে না। ডিজিটাল মিডিয়ার খবরের এখনো বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়নি। এই মিডিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ফেক নিউজের অভিযোগ শোনা যায়। আদালত বা সরকারি কাজে ডিজিটাল মিডিয়ার খবর কে ডকুমেন্ট হিসাবে গ্রহন করা হয় না। ডিজিটাল মিডিয়ায় ইচ্ছেমত খবর করে সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করা যায়।

এই মাধ্যমের একটাই লক্ষ্য থাকে মুখরোচক খবর করে ভিউয়ার বাড়ানো। অন্যদিকে, সংবাদপত্র কে দায়িত্বের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করতে হয়। সূত্রের খবর যাচাই করে খবর লিখতে হয়। সংবাদপত্রের দায়বদ্ধতা পাঠকের কাছে। সরকারি কাজ ও আদালতে খবরের কাগজের রিপোর্টিং কে প্রমাণ হিসাবে দেখা হয়। একজন বা দুজন নিয়ে বা সামান্য লোক নিয়ে ডিজিটাল মিডিয়া চালানো যায় কিন্ত একটা সংবাদপত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজার মানুষ জড়িয়ে থাকে। বাজারে মুড়ি মুড়কির মত এত ডিজিটাল মিডিয়া থাকা সত্ত্বেও লোকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজ পড়তে চায়।” সুখবর এর সম্পাদক সাংবাদিকতার ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন, ” সাংবাদিকতা অন্য পাঁচটা পেশার থেকে আলাদা।

একজন সাংবাদিক কে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হয়। তাঁকে নিরপেক্ষ ভাবে খবর করতে হয়। যাঁরা লিখতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে সংবাদপত্র আদর্শ ক্ষেত্র আর যারা এক্সট্রোভার্ট তাঁদের জন্য ডিজিটাল মিডিয়া ভালো। এখানে খুব বেশি লেখার দক্ষতা লাগে না।” তিনি আরো বলেন,” জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন নিয়ে লেখাপড়ার পর কাজের নানা ক্ষেত্র খুলে গেছে :রেডিও,টেলিভিশন, সংবাদসংস্থা, সরকারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পাশাপাশি এখন কাজের গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্র পাবলিক রিলেশন”। তাঁর বক্তব্যের শেষে ছাত্রীরা নানা প্রশ্ন করে নিজেদের কৌতূহল মেটান। সাংবাদিক সৈকত হালদার বিনোদন সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুমন পাত্র।

 

digital media

The future of newspapers under the influence of digital media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *