মণিপাল হাসপাতালে ওয়ারলেস পেসমেকারের ব্যবহার
পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ হেলথকেয়ার পরিষেবা মনিপাল হসপিটাল কার্ডিয়াক কেয়ারে নয়া দিগন্ত সৃষ্টি করল। জীবন বাঁচানো ডিভাইস এর মাধ্যমে ইনসার্ট করা হয়েছিল ৬৫ বছরের এক রোগীর হার্টে। এর সাহায্যে সহজেই হার্ট রিদমের ডিসঅর্ডার সামলানো সম্ভব হবে। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের জার্নাল অনুসারে প্রতি বছর ভারতে প্রায় ৪০,০০০ মানুষের পেসমেকার বসানোর অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক পিকে হাজরা বলেন,” যদিও এই পেসমেকার রিচার্জ করা সম্ভব নয়, তবুও এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। এটির ক্ষেত্রে সহজেই সিঙ্গেল থেকে ডুয়াল চেম্বারে পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করা যাবে, যার ফলে রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা এবং দীর্ঘকালীন সমস্যা লাঘব হবে। এটি নির্ভুল ভাবে হার্টের ডান দিকের অলিন্দ এবং ডান দিকের নিলয়ের এর ফারাক ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই পেসমেকার শুধুমাত্র যে ইনভেসিভ অস্ত্রোপচার ও বহিরাগত তারের ব্যবহার কমিয়ে দেয় নয়, তার সাথে ব্লু টুথ যুক্ত প্রযুক্তি রয়েছে। এর ফলে দূর থেকে মনিটর করা এবং অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব হবে। সারা পৃথিবী থেকে বিশেষজ্ঞরা এখন সহজেই রোগীদের মনিটর করতে পারবেন আর তাই নিয়মিত হসপিটালে গিয়ে চেকআপ করার প্রয়োজনীয়তা ফুরোবে।”
সিনিয়র কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক দিলীপ কুমার বলেন, “ওয়ারলেস পেসমেকার এখন একটি সম্পূর্ণ বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। যদিও ওয়ারলেস পেসমেকার নতুন নয়, পূর্বের মডেলগুলি অ্যাট্রিয়াম এবং ভেন্ট্রিকল উভয় চেম্বারে পেস করতে সক্ষম ছিল না। এই উদ্ভাবন আমাদের উত্তেজিত করে কারণ এটি হেমাটোমা গঠনের মতো জটিলতা, সংক্রমণ, লিড সরে যাওয়া এবং অন্যান্য লিড-সম্পর্কিত সমস্যাগুলির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এটি চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ের জন্যই অতুলনীয় স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে।”
Use of Wireless Pacemaker in Manipal Hospital
সপ্তর্ষি সিংহ! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।