নরেন্দ্র মোদির আরও এক জুমলা ফাঁস করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নয়া কৌশল। বেছে বেছে পদ্মপ্রার্থীদের ফোন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে ফের প্রতিশ্রুতির ভাঁওতাবাজি। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করেন মোদি। তার পরে ফোন করে তামিলনাড়ু ও কেরালার বিজেপি প্রার্থীদেরও। সব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, একাধিক দুর্নীতি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা বিপুল পরিমাণ টাকা দেশের মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেবেন তিনি। এই কথাকে হাতিয়ার করে প্রচারেও নাম গেরুয়া শিবির। আগেই এটিকে ১৫লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো মোদি আরও একটি ‘জুমলা’ বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল। শরিবার, মথুরাপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সভা থেকে মোদি ভাঁওতাবাজি ফাঁস করেন তৃণমূলের ( tmc ) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
কেন ‘জুমলা’? রীতিমতো হিসেব কষে দেখিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি জানান, শুধু এ রাজ্য নয়, কেরালা-তামিলনাড়ুর দলীয় প্রার্থীদের ফোন করেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই ভাঁওতাবাজি ফাঁস করেন অভিষেক। হিসাব দিয়ে বলেন, “একই টাকা উনি বাংলায় ফেরত দেবেন, তামিলনাড়ুতে ফেরত দেবেন, কেরলেও ফেরত দেবেন। সারা ভারতবর্ষে ফেরত দেবেন। সারাদেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিলে, প্রত্যেকে পাবেন ২১ টাকা ৩০ পয়সা। ২২ টাকাই ধরুন।”
এর পরই তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “কত বড় দুনম্বরি ভাবুন, ২২ টাকা দিয়ে ৫ বছরের জন্য় ভোট চাইছেন মোদি! মানুষকে কতটা দুর্বল ভাবছে ওরা!” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, “১০ বছর ধরে তো সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত হচ্ছে, এক টাকাও ফেরত পেয়েছেন?” তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মোদির এই জুমলা গ্রামে-গ্রামে প্রচার করার পরামর্শ দেন অভিষেক।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।