ছদফা ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। পাখি আর এক দফা। কিন্তু এর মধ্যেই বাংলায় ২৩ টি আসন চলে এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। মঙ্গলবার, নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার প্রচার সভা থেকে এই কথা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের লোকসভায় দাঁড়িয়ে এবারে ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধান বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি ৩৬৫ দিন ডায়মন্ড হারবারে পড়ে থাকলেও হারাতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন Abhishek , বলেন, “অনেকেই আমার কাছে জানতে চাইছেন তৃণমূল কটি আসনে জয়ী হবে৷ আমি আগেই বলেছিলাম, তৃণমূল কত আসন পাবে সময় মতো জানাব৷ আজ ঘোষণা করছি, আমরা কটা আসন পাব। ফল খারাপ হলেও গতবারের চেয়ে একটা আসন বেশি পাব৷ তবে ইতি মধ্যে ২৩টি আসন পার করে ফেলেছি৷ এতদিন বলিনি আজ বললাম৷ আমি বলেছিলাম, ২০১৯ সালে তৃণমূলের যে আসনসংখ্যা ছিল, তার থেকে একটা হলেও বাড়বে। খুব খারাপ হলে, পৃথিবী রসাতলে গেলেও ২৩ হবে। এখনও পর্যন্ত ৯টি আসনে ভোট বাকি আছে, ৩৩টি আসনে ভোট হয়েছে।
আমি বলছি, ৩৩টির মধ্যে তৃণমূল ২৩ পার করে দিয়েছে। তাঁর সংযোজন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি আমার নাম দিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেখালে দেখান। ৪ তারিখ ভোটবাক্স খুললে মিলিয়ে নেবেন। একইসঙ্গে এদিন ইনকাম ট্যাক্স রেইডের চক্রান্তের কথা ফাঁস করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, আমাকে গতকাল রাতে আয়কর দফতরের এক অফিসার ফোন করেছিলেন। তিনি বলছেন, স্যার আমাদের বলা হয়েছে ৩১ তারিখ এবং ১ তারিখ ৫টি জায়গায় রেইড করতে। আমি জানিয়ে রাখলাম। এখন ওরা যা বলছে, আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে। কোথায় কার বাড়িতে রেইড করবে, সেটাও জানিয়ে দেবে বলেছেন। কিন্তু আমি বলেছি, আমার ওসব জানার দরকার নেই। আপনারা ৩৬৫ দিনই রেইড করেন। আপনারা হচ্ছেন, গভর্নমেন্ট অফ দ্য এজেন্সি, ফর দ্য এজেন্সি, বাই দ্য এজেন্সি। আর আমাদের সরকার হল মানুষের সরকার। অফ দ্য পিউপল, ফর দ্য পিউপল, বাই দ্য পিউপল। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আপনাদের যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুন।
আপনি যদি ৩৬৫ দিনও এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকেন, তাও ভোটের ব্যবধান ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৯ হবে না, ৪ লক্ষ হবে। অন্যদিকে আবাস যোজনার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে তিনি বলেন যে নরেন্দ্র মোদির মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অব্দি সমস্তটাই দু’নম্বরি।
শুধু নরেন্দ্র মোদি নয়, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরী প্রত্যেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, তাঁর বিপরীতে দাঁড়াতে পারতো ডায়মন্ডহারবার থেকে এত ভয় কীসের! জনসভা থেকে আবার ডায়মন্ড হারবার মডেলকে সামনে তুলে আনলেন তিনি। জানান, ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র ডায়মন্ডহারবার লোকসভা যেখানটা ষাট উর্ধ্ব ব্যক্তিদের ১০০০ টাকা করে ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ দেওয়া হয়। এদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একটি বর্ণাঢ্য রোড-শো- করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেখান থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ও কটাক্ষ ছুড়ে দেন অভিষেক।
অভিষেক জানান, এই ঘূর্ণিঝড় রেমালে কোন বিরোধী নেতা মানুষের পাশে ছিলেন না। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক থেকে শুরু করে যে সমস্ত মানুষের ক্ষতি হয়েছে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।