রজত জয়ন্তী বর্ষে ‘সাউথ ইস্ট কলকাতা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ – এর থিম ‘সহজ পাঠ’
নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ পূর্ব কলকাতার টেগোর পার্কের ‘সাউথ – ইস্ট কলকাতা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ এর শারদীয় দুর্গা পুজোর ( Durga Puja ) এবার পঁচিশ বছর। রজত জয়ন্তী বর্ষে পুজোর থিম ‘সহজ পাঠ’। ক্লাবের সভাপতি স্বপন পায়রা জানিয়েছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজ পাঠ বইয়ের লেখা ও আঁকা থাকবে প্যান্ডেল জুড়ে। ক্লাবের সম্পাদক ড: পি কে রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে এই কম্পিউটারের যুগে আমাদের ছোট বেলার স্লেট পেন্সিল এবং কাঠের পেন্সিল এখনকার শিক্ষায় বিলুপ্ত প্রায়। শিশুদের সেই পুরনো জিনিসগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বড় বড় কাঠ পেন্সিল তৈরি করে মন্ডপে রাখা হবে। এছাড়া প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছে কাঠ পেন্সিলের আদলে।
সাউথ ইস্ট কলকাতা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের এবারের থিমের রূপকার শিল্পী সঞ্জয় ঘোষ। তিনি দেখালেন, স্লেটের ওপর পেন্সিল বা চক দিয়ে যেমন লেখা ও আঁকা হয়, বড় বড় স্লেট তৈরি করে ঠিক সেই রকম এফেক্ট আনা হয়েছে। এছাড়াও কাঠ পেন্সিল ছুলে তা গুঁড়ো করে থার্মোকলের ওপর সহজ পাঠের সেই চির পরিচিত ছবিগুলো আঁকা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জন বর্ণ। কাঠ পেন্সিল ছোট করে কেটে ও ইরেজার দিয়ে সুন্দর সুন্দর নকশা তৈরি করে সাজানো হবে মন্ডপ। ক্লাবের যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষা বাংলাকে গ্ৰহণ করার বার্তা দিচ্ছে এই পুজো কমিটি।
সাউথ ইস্ট কলকাতা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিমা এবার একচালার। যথাবিহিত রীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করেন উদ্যোক্তারা। পুজোর এই কাজ সামলান এলাকার মহিলারা।
পুজোর ক’টা দিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবারও এলাকার কচিকাঁচাদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
রজত জয়ন্তী বর্ষে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্বেও থাকছে অভিনবত্ব। মহিলা ঢাকী আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। বিলুপ্ত প্রায় বহুরূপী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বহুরূপী ও ছৌ শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান করার কথা ভাবছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া থাকবে ধামসা মাদল ও রণপা নৃত্য।
রজত জয়ন্তী বর্ষের দুর্গা পুজোয় এলাকার সমস্ত মানুষ সামিল হয়ে আনন্দে মেতে উঠবেন ব’লেই আশা করেন সাউথ ইস্ট কলকাতা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন পুজো কমিটির সদস্যরা।
সপ্তর্ষি সিংহ! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।