লোকসভা নির্বাচনের আগে একের পর ‘ভাঁওতা’ দিয়ে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi )! শরিবার, মথুরাপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সভা থেকে পাল্টা মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek-Banerjee)। বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে BJP সরকার বলুক আগামী ৫বছর রান্নার গ্যাস ( gas ) ফ্রি-তে দেবে। তিনি বাংলার ৪২ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তুলে নেবেন।
২০২১-এ বাংলায় ভারডুবির পরে আবাস যোজনা ও ১০০দিনের কাজে কত টাকা দিয়েছে কেন্দ্র- এই বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬দিন পেরিয়ে গিয়েছে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এদিনের সভা থেকে ফের নয়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক। বলেন, ”আগামী ৫ বছর বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দিন। লোকসভা নির্বাচনে ৪২ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী তুলে নেব।”
আসন্ন লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের প্রচার সভা থেকে জনতার উদ্দেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন করেন, ”দিদির গ্যারান্টি না মোদির গ্যারান্টি – কার গ্যারান্টি চান?” মথুরাপুরের প্রচারমঞ্চ থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে প্রতি মাসে মহিলারা এপ্রিল থেকে ১০০০ টাকা করে পাবেন। তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা পাবেন ১২০০ টাকা করে। এই প্রকল্পের পাল্টা বিজেপি নেতাদের প্রতিশ্রুতি, তাঁরা ক্ষমতায় এলে না কি মাসে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। সেই কথা উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক (abhishek)। বলেন, “বিজেপি নেতারা বলছেন, ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবেন। তাও আবার ১০০০-২০০০ নয়, ৩০০০ টাকা করে। আপনারা দেশের ১৭টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছেন, কোথাও একা, কোথাও জোটে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানে তো তৃণমূল নেই! আপনাদের সরকার রয়েছে। অসমেও আপনাদের সরকার। এর মধ্যে একটি রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করে দেখান, ৩০০০ নয়, ১৫০০ টাকা করেই দিয়ে দেখান। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
আরও ঝাঁঝ বাড়িয়ে অভিষেক বলেন, ”লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাদ দিন। শুধু আগামী ৫ বছর রান্নার গ্যাস বিনামূল্যে দিয়ে দেখাক বিজেপি। তাহলে ৪২ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী তুলে নেব।” তবে, একই সঙ্গে অভিষেক মনে করিয়েদেন, তাঁর চ্যালেঞ্জ মেনে এখনও শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।