Mithijhora Today Episode : অবশেষে স্রোতের কাছেই সাহায্য চাইল সার্থক! নিজের অপবাদ ঘোচাতে সুদীপ্তকে উচিত শিক্ষা দিল রাই!

Mithijhora Today Episode

Mithijhora Today Episode :

অনেকক্ষণ ধরেই জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোড়া (Mithi Jhora) ধারাবাহিকের রাই আন্দাজ করতে পারছিল তার সঙ্গে কিছু একটা খারাপ হতে চলেছে। এইবার ঠিক কি হতে চলেছে সেটা বুঝে গেল রাই। এই মুহূর্তেই ধারাবাহিকের নায়িকা দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। টিআরপিতে মাথা তুলে দাঁড়ানোর এবং উপরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এই মেগা। সম্প্রতি নায়িকার জীবনে নেমে এলো এক চরম অন্ধকার।

ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, বহু দিন যাবত অনির্বাণের অলক্ষে তার অনেক টাকা নয় ছয় করেছে সুদীপ্ত। অনির্বাণ কোনো কিছুতেই বিশেষ নজর দেয়নি কারণ সুদীপ্ত তার বন্ধু। তবে ট্যাক্সের টাকা ঠিক সময় জমা না করায় অনির্বাণ সুদীপ্তর ওপর ভীষণ রেগে যায়। অন্যদিকে সুদীপ্ত ঠিক করে ফেলেছে সে ওই টাকাটা কোনভাবেই দেবে না। তাই নিজে টাকাটা নিয়ে রাইকে ফাঁসিয়ে দিল সে।

ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, টাকা কে চুরি করেছে সেটা খুঁজে বার করতেই হবে নইলে অনেকগুলো টাকা পেনাল্টি দিতে হবে অনির্বাণকে। আর এমনটা হলে সে অনেক বড় বিপদে পড়ে যাবে। পুলিশ এসে যখন সিসিটিভি দেখে তখন সেখানে দেখা যায়, রাই সুদীপ্তর ঘরে এসে তার ড্রয়ার খুলে একটা ফাইল নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আর এটা দেখার পর থেকেই সুদীপ্ত বারবার এটাই বলে যে টাকাটা ওই মেয়েটাই চুরি করেছে। কিন্তু এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না অনির্বাণ। সে মনে মনে ভাবে কোন একটা গন্ডগোল তো হচ্ছেই। এরপর সেখানে ডাকা হয় রাইকে। সুদীপ্ত তাকে জিজ্ঞাসা করে, টাকাগুলো কোথায় সড়িয়েছেন? এটা শুনে রাই চমকে যায়।

নিজেকে কীভাবে নির্দোষ প্রমাণ করবে রাই?

রাই সবাইকে বলে, “আমরা গরীব হতে পারি কিন্তু আমরা কারোর টাকা চুরি করি না। আর ওই টাকাটা আমি চুরি করিনি। সুদীপ্ত স্যার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” এটা শুনে সুদীপ্ত আরো রেগে যায়, সে বলে চোরের মায়ের বড় গলা। অনির্বাণের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকায় রাই কিন্তু অনির্বাণ এখানে কিছুই করতে পারে না। কারণ সে অনেক বড় একটা বিপদে পড়ে গিয়েছে। সে শুধু চায় এই টাকাটা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করা যায়। পুলিশ রাইকে তাদের সাথে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। রাই মনে মনে ভাবে, এবার কিভাবে এত বড় বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাবে সে?

সার্থকের শেষ ভরসা স্রোত!

এদিকে কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমস্ত দায়ভার নিয়েছিল সার্থক। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুদেষ্ণা একটি মেয়ে তাকে বিপদে ফেলে দেয়। সেই মেয়েটির নাচ করার কথা ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে আর আসে না। ফলে সার্থককে প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে প্রচন্ড বকাবকি শুনতে হয়। এরপর স্রোতের বন্ধুরা বলে স্রোত খুব ভালো নাচ করে। সার্থক স্রোতকে বিশ্বাস করতে চায় না সেভাবে স্রোত আবার কোন না কোন গন্ডগোল করবে। প্রিন্সিপাল স্যার বলেন, সার্থক তো সবটা ডুবিয়েই দিচ্ছে ওই মেয়েটা যদি বাঁচাতে পারে তাহলে ক্ষতি কি। বাধ্য হয়ে সার্থককে এবার স্রোতের কাছেই যেতে হয়। কিন্তু স্রোত কি রাখবে সার্থকের কথা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *