বিজেপির সমস্ত ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ করে বাংলায় সবুজ ঝড় বয়েছে এবারও। কেন্দ্রেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে একার জোরে যে আসন পেয়েছে, তা দিয়ে সরকার চালানো যায় না। বেআইনিভাবে বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়ছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি হলে ক্ষমতায় বসতেন না। এদিন বিজেপির জোটকে অর্গানিক বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
শনিবার কালীঘাটে বিজয়ী তৃণমূল সাংসদ, জেলা সভাপতি ও শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির জোট অর্গানিক হলে আমাদেরটা আয়ুষ জোট। কিন্তু ওই অর্গানিক জোট বায়োলজিক্যাল বর্ন নয়, তা আর্টিফিসিয়াল। এদিন দল ভাঙানো নিয়েও বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, সব সাংসদদের বলব, নিজের নিজের দলকে মজবুত করুন। আবারও দল ভাঙানোর চেষ্টা শুরু করেছে ওরা। তিনি সাবধান করে দিয়ে জানান, দল ভাঙানোর কাজ ঠিক নয়। এভাবে চললে, নিজের দলই ভেঙে যাবে। আমরা ভাঙব না, ভিতর থেকেই ঘুণ ধরবে। দলের ভিতরে আপনাদের সকলে খুশি নয়। সেটা বোঝা যাচ্ছে।
রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইমর্মে জানিয়েছেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাননি তাঁরা। আর পেলেও যেতেন না। যেভাবে সরকার গড়ছে, তাতে সমর্থন নেই তাঁদের। তাই শুভকামনাও জানাবেন না। এই রায় দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাবেন তিনি। এরপর তিনি নিজের দলের সাংসদদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এই পারফরম্যান্স কিন্তু বসে থাকার জন্য নয়। মোদিকে আর কেউ চাইছেন না, পরিবর্তন চাইছেন সকলে। এত বড় হারের পর অন্য়কে আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল ওঁর। কিন্তু এখন আর ধমকে চমকে, সংখ্য়াগরিষ্ঠতা দেখিয়ে, ১৪৭ জন সাংসদকে তাড়িয়ে যা ইচ্ছে বিল পাস করিয়ে নেওয়া যাবে না। আমাদের সাংসদরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আলোচনা চাইতে হবে, চাপ সৃষ্টি করতে হবে আইন বাতিল করতে।
Organic-Artificial
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।