‘ওয়াকিং উইথ এম’ তথ্যচিত্র কলকাতায় আসতে চলেছে
সাগর পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট, মানব একতা মিশনের সহযোগিতায়, ৩১ এ আগস্টঃ কলকাতার ‘প্রিয়া সিনেমা হল’ এ (Priya Cinema Hall) উপস্থাপন করা হবে | গর্বিতভাবে পুরুষ্কার বিজয়ী তথ্যচিত্র ‘ওয়াকিং উইথ এম’ স্ক্রীনিং শেষেই ‘শ্রী ম’ ও ‘আকাশ চোপড়া’ এ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
৭ বছর ধরে তৈরী করা এই প্রামান্যচিত্রটি ১৮০০ ঘন্টার ও বেশি আর্কাইভাল ফুটেজ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এবং এটি সিনেমাটিক মার্ভেল ‘আকাশ সাগর চোপড়া’ দ্বারা পরিচালিত।
১ ঘন্টা ৩৭ মিনিটের এই ফিচার পদ্ম ভূষণ পুরুষ্কার পেয়েছে এবং বেস্ট সেলিং লেখক হিসেবে ভূষিত হয়েছেন ‘শ্রী ম’। তিনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ১১ টি রাজ্য অতিক্রম করে, ভারত জুড়ে একের পর এক দীর্ঘ ৭,৫০০-কিলোমিটার দুঃসাহসিক অভিযান পথ সম্পুন্ন করেছেন।
‘ওয়াকিং উইথ ম’ এর মূলে ” মানবতার উদ্দম চেতনাকে মূর্ত করে এবং একজন ব্যক্তির পেছনের গল্পটি তুলে ধরে। তাছাড়াও বিভিন্ন অশান্তির মধ্যেও এই বিশ্বে আশা ও শান্তির শিক্ষা জেলে তোলার একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টার পেছনের গল্পটি চিহ্নিত করে।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ২০১৫-১৬-এর, ‘ওয়াক অফ হোপ’, এখন ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘতম শান্তি পদযাত্রা হিসাবে সমাদৃত।
শ্রী এম এর নেতৃত্বে, ‘মমতাজ আলী’ (২০২০ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপক) একজন ভারতীয় আধ্যাত্মিক-লেখক, শিক্ষাবিদ, এবং শান্তির পক্ষে একজন উকিল। দ্য ওয়াক অফ হোপ বা আশা যাত্রা একটি কঠিন কাজ যা
৮০ জন যাত্রীর যাত্রা, যারা ভারত জুড়ে বিরোধের ফাটল মেটানোর চেষ্টা করেছিল, যার একক উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বৈচিত্র্যকে একত্রিত করা।
ওয়াক অফ হোপ ভারতে এবং বিদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়কে মোহিত করেছিল।
শ্রী এম বলেছেন, “কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত 7,500 কিলোমিটারেরও বেশি পথ জুড়ে, আমরা বিভিন্ন গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘুরেছি, গ্রাম এবং শহর যেখানে আমরা বহু কিছু শিখেছি। এই ভ্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যা আপনাদের জানাতে পারি তা হল ভারত-এর প্রকৃত সারমর্ম- যা আমরা উপলব্ধি করেছি এ ভারত সত্যিই এর হৃদয়ে একতাবদ্ধ।
পরিচালক ‘আকাশ সাগর চোপড়া’ বলেছেন- ” এই ডকুমেন্টারি দিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা হল সবাইকে এই রূপান্তরের অংশ হওয়ার সুযোগ দেওয়া,7500 কিমি ভ্রমণ এবং বৈচিত্র্যময় অন্বেষণের সময় বিশ্ব ইতিহাসের একটি অদেখা আন্দোলনের ও সুন্দর, এবং ভারতের চিরন্তন প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাক্ষী করে তোলা সকলকে।”
সাগর পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট ঘোষণা করেছে, যে-এই ছবিটির যাবতীয় কার্যক্রম এবং এর সংগ্রহ চলছে মানব একতা মিশণ কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে।
‘ওয়াকিং উইথ এম’ একটি বৈচিত্র্যময় “কমিউনিটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল”-এ প্রদর্শিত 8টি ইউরোপীয় দেশে সফলভাবে চালানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করেছে।
ফিল্মটি ফিল্ম ফেস্ট ইন্টারন্যাশনাল-এ সেরা ডকুমেন্টারি বিজয়ীর মতো বেশ কয়েকটি প্রশংসাও জিতেছে
(বার্লিন এফএফআই) 2023, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দ্য হেগে গ্লোবাল পিস অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ী, তাছাড়াও একটি ডকুমেন্টারির সেরা পরিচালক, ঐতিহাসিক আগ্রহের পুরস্কার এবং সেরা সম্পাদনার জন্য মনোনয়ন তথ্যচিত্র।
এ ছাড়াও ডকুমেন্টারিটি এথেন্স সহ মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবেও স্বীকৃত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মাসিক আর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস, স্টকহোম সিটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুদাপেস্টে প্যারাডাইস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, নেপালে ফিল্ম সাউথ এশিয়া এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এও এটি সেরা ডকুমেন্টারী হিসেবে পুরুষ্কার অর্জন করেছে।
ভারতের বিভিন্ন শহরে ‘ওয়াকিং উইথ ম’ এর স্ক্রিনিং হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও সাগর পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট ইতিমধ্যে বিতরণ অংশীদারদের সাথে আলোচনা করছে এই ডকুমেন্টারির একটি বিশ্বব্যাপী মুক্তির জন্য।
Kolkata
‘Walking with M’ documentary is coming to Kolkata
সপ্তর্ষি সিংহ! স্নাতক কোর্স করার পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি রাজারহাট বার্তা’র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।