দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরি! হাতিয়ার সমাজ মাধ্যম! Didi নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে নিজের সেই গল্পই ভাগ করে নিলেন মহুয়া!

 

আমাদের দেশে আনাচে-কানাচে অলিতে গলিতে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের জীবন যুদ্ধের গল্প বা যাদের প্রতিভা দেশের বহু মানুষকে নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগাতে সক্ষম। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মানুষগুলোর গল্প অনেকের কাছেই অজানা থেকে যায়। তাদেরকে দর্শকের সামনে তুলে ধরে জি বাংলার (Zee Bangla) দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ ( Didi no 1)

ইতিমধ্যেই এই মঞ্চে এসে এই বাংলায় থাকা একাধিক মানুষ নিজেদের জীবনের অনেক কাহিনী দর্শকদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। এইবার এই দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে আসলেন মহুয়া গঙ্গোপাধ্যায় (Mahua Ganguly)। যারা প্রতিনিয়ত সমাজ মাধ্যমের সাথে যুক্ত তারা হয়তো এই মহুয়া গঙ্গোপাধ্যায়কে চিনে থাকবেন। সম্প্রতি ওনার পোস্ট করা ছোট ছোট ভিডিওগুলো সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। একইসঙ্গে মানুষ অনেক কিছু জানতেও পারছে।

এই দিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে, নিজের সম্বন্ধে অনেক কিছুই দিদি অর্থাৎ রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee) সহ দর্শক মহলের কাছে তুলে ধরলেন তিনি। তিনি এই বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেয়ে। সেখানেই তার ছোটবেলা কেটেছে। সেখানেই তার বড় হয়ে ওঠা। তারপর স্কুল এবং কলেজ সবই এই বাংলার বুকে। এখান থেকে বিবাহ সূত্রে তিনি প্রবাসী ভারতীয় হয়ে যান। তার স্বামী সুদুর আমেরিকায় চাকরি করায় তাকেও সেখানেই নিজের সংসার গড়ে তুলতে হয়।

কীভাবে শুরু হলো “প্রবাসে ঘরকন্যা”?

মহুয়া দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “যেহেতু আমাদের পরিবারে বেশিরভাগ মানুষ পুলিশে চাকরি করতেন তাই আমারও ভীষণ ইচ্ছে ছিল পুলিশে চাকরি করার। সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করছিলাম। অনেক সম্বন্ধ আসে আমার জন্য সেই সময়। কারণ আমি পরিবারের বড় মেয়ে। সবাইকেই প্রায় না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমার স্বামীর সম্বন্ধ আসে, কথাবার্তা বলে বেশ ভালো লাগে। তারপরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি বিয়ে করার।”

তিনি আরো বলেন, “তারপর ১০ বছর সংসার করি। কিন্তু বছরে একবার করে ভারতে আসতাম। তখন সবাই জিজ্ঞাসা করত, এখানকার ফ্ল্যাটের ভাড়া কত? এখানে পটল পাওয়া যায়? ইলিশ পাওয়া যায়? কচুর শাক পাওয়া যায়? যারা জিজ্ঞাসা করতো তারা সবাই আমার আপনজন। আমি ভাবলাম এই বিষয়টাকে যদি ছোট ছোট করে ভিডিও করে পোস্ট করি তাহলে সবাই জানতে পারবে। সেখান থেকেই শুরু হয় আমার প্রবাসে ঘরকন্যা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *