দেশ জুড়ে একাধিক কারখানা গড়তে ২০০০ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেছে দুধ এবং দুধজাত পণ্য তৈরির সংস্থা Mother Dairy । এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হবে একটি। সংস্থার দাবি, আড়াই বছরের মধ্যে রাজ্যে কারখানাটি তৈরি করে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। লগ্নির অঙ্ক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। প্রায় ৪০০ জনের কর্মসংস্থান হবে।
মাদার ডেয়ারি ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবিল প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ ব্যান্ডলিশ বলেন, আগামী দু’থেকে আড়াই বছরের মধ্যে আমরা ডেয়ারি কারখানা তৈরির কাজ শুরু করব। তার জন্য সংস্থার পরিচালন পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। এরাজ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওই কারখানা থেকে প্যাকেটজাত দুধ, দই, আইসক্রিম সহ দুগ্ধজাত পণ্য যাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্য এবং ওড়িশার কিছু অংশে। এরাজ্য থেকে মাদার ডেয়ারির বছরে ব্যবসা আসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার, জানিয়েছেন এমডি। বর্তমানে তাঁদের ব্যবসার অঙ্ক ১৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে তা অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
তবে এর পাশাপাশি সারা দেশে নতুন আরও ৬টি কারখানা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। সংস্থার দাবি, এর মধ্যে বিহারে দু’টি, দক্ষিণ ভারতে দু’টি, নাগপুরে একটি এবং দিল্লিতে একটি খোলা হবে। দিল্লির কারখানটিই হবে সব থেকে বড়। সেখানে লগ্নি হতে পারে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
তিনি জানান, জানান, পশ্চিমবঙ্গের কারখানাটি তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই মাদার ডেয়ারির পরিচালন পর্ষদে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আইসক্রিম, কুলফি, দই, ছাঁচ ইত্যাদি দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি হবে। এর জন্য দিনে দুধ লাগবে ৪-৫ লক্ষ লিটার।তবে জোর বেশি আইসক্রিমে। বিশেষ করে এ বছর চড়া তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে চোখ রেখে সংস্থার এই পরিকল্পনা। লক্ষ্য, আইসক্রিমের বিক্রি ৫০% বাড়ানো। ব্যবসায়িক কৌশলের তালিকায় রয়েছে, ১৫টি নতুন ধরনের স্বাদে তা বাজারে ছাড়া, কাঠি লাগানো কুলফি আনা ইত্যাদি।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।