মানুষ হিসেবে, ছেলে বৌমা হিসেবে, দাদা বৌদি হিসেবে প্রত্যেকটা জায়গাতেই নিজেদের অযোগ্যতার চরম প্রমাণ দিয়ে এসেছে হিসেবে জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu) ধারাবাহিকের অন্যতম নেতিবাচক দুই চরিত্র অয়ন আর মৌমিতা। এইবার মা বাবা হিসেবেও অযোগ্য হওয়ার প্রমাণ দিল তারা। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাস্তার লোকের কাছে হাত পাততে পাঠিয়ে দিল নিজের ছেলেকে। যার ফল স্বরূপ আজ অনেক বড় বিপদের শিকার হয়েছে বুবাই। এখন নির্লজ্জের মতন সমস্ত দোষ পর্ণার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইলেও বাড়ির প্রত্যেককে রয়েছে তাদের পাশে। টিআরপি তালিকায় বেঙ্গল টপার এর জায়গায় রয়েছে এই মেগা।
বর্তমান গল্প অনুযায়ী, পর্ণা আর সৃজন এইবার আরও এক নতুন বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। তাদের ছেলের মতন একটা বাচ্চা বুবাই নিজের মায়ের প্রলোভনের শিকার হয়ে আজ জেলবন্দী। নিজের বোনের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে কারোর সামনে মুখ খুলতে চাইছে না সে। বুবাই যদি কিছু না বলে তাহলে পর্ণা কিছুই করতে পারবে না তার জন্য। এখানে তারও হাত-পা বাঁধা। বুবাই যখন বলে, “দাদুর কথাই ঠিক, কেউ কাউকে এমনি এমনি কিছু দেয় না” কথাটা বেশ কানে লাগে পর্ণার। তবে এতটুকুনি একটা তথ্যের সবটা খুঁজে বের করা পর্ণার পক্ষেও সম্ভব নয়।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, পর্ণা পুলিশ অফিসারকে বারবার করে বলতে থাকে, বুবাই এমন একটা কাজ করার ছেলেই নয়। ও নিজে ঠকে আসবে কিন্তু কাউকে ঠকাবে না। পুলিশ পর্ণাকে বলে, “দেখুন আমি বুঝতে পারছি এর মধ্যে জল মেশানো রয়েছে। আসল ঘটনাটা এটা নয় কিন্তু আমাদের হাত-পা বাঁধা। বুবাই যদি কিছু না বলে তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করব কি করে? আর এটা তো সামান্য পকেটমারের কেস নয়। আপনি তো একজন সাংবাদিক আপনি তো এগুলো আরো ভালোভাবে বুঝবেন। তবে একটা জায়গা থেকে আপনাদের ভাগ্যটা ভালো। গরমের জন্য কিছুদিন কোর্ট বন্ধ থাকবে। তারমধ্যে যদি আপনারা প্রমাণ জোগাড় করতে পারেন তাহলে আপনারা আপনাদের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।”
সুযোগ বুঝে কেটে পড়লো ইশা
এরপর অয়ন আর মৌমিতা দুজন মিলে বুঝা যায় পর্ণা হয়তো কিছুই করে উঠতে পারবে না। তাই এবার যা করার তাদেরকেই করতে হবে। তারা ভাবে তাদেরকে সাহায্য করবে ইশা। কিন্তু সেই গুড়ে বালি। যখনই অয়ন আর মৌমিতা ইশাকে ফোন করে সমস্তটা জানায়, ইশা মনে মনে ভাবে এখনই কোন পুলিশ কেসে সে জড়িয়ে পড়তে পারবে না। তাকে এখন তার ইমেজ পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই না শুনতে পাওয়ার ভান করে ফোনটা কেটে দেয় সে। আর এটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে অয়ন আর মৌমিতা। এখন তাদের কাছে পর্ণাকে বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
পর্ণার বুদ্ধিতে প্রমাণ পেল চয়ন
সবাই মিলে ভাবতে থাকে ঠিক কি করলে আসল সত্যিটা জানা সম্ভব হবে। তখনই পুঁটি বলে, সে এই বিষয়ে কিছু কথা বলতে চায়। এরপর সে বলে, মৌমিতা বুবাইকে ঘোতোন এর কাছে পাঠিয়েছিল ফোন আর সেন্ট আনার জন্য। যেটা শুনে অবাক হয়ে যায় বাড়ির প্রত্যেকে। জেঠু বলে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু। একজন মা যে তার ছেলেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে সেটা মৌমিতাকে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে পারত না। অয়ন প্রচন্ড রেগে গিয়ে চোটপাট করতে থাকে মৌমিতার ওপর। এদিকে চয়ন একটা সিসিটিভি ফুটেজ পাঠিয়ে দেয় পর্ণাকে। পর্ণা বলে এটা দেখিয়ে বুবাইকে ছাড়াতে হবে আর তারপর আস্তে আস্তে ওর থেকে সবটা জেনে আসল দোষীকে ধরতে হবে।
সিদ্ধার্থ দাস! স্নাতক কোর্সের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
17 বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখক হিসাবে কাজ করছেন।
বর্তমানে রাজারহাট বার্তার সাব-এডিটর ও ক্রিয়েটিভ হেড হিসেবে কর্মরত।