বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে সমাজ সচেতনতা লক্ষ্য
সপ্তর্ষি সিংহ,নিজস্ব প্রতিনিধি:- মারণ ব্যাধি ক্যান্সারকে জয় করে সমাজে নতুন জীবনের আলো ছড়াচ্ছেন যোদ্ধারা। নেপথ্য নায়ক হিসাবে দিবসে তাঁদের যুদ্ধ জয়ে অন্যতম ভূমিকা যাদের তাঁরা হলেন ডাক্তারবাবু। মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকা হসপিটালে এক অনুষ্ঠানে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকরা শোনালেন একতার বার্তা। এদিন রোগীদের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ সুবীর গাঙ্গুলি, চিকিৎসক সৌরভ দত্ত, ডাঃ অরুণাভ রায়, ডাঃ অভয় কুমার, নাট্য ব্যক্তিত্ব চন্দন সেন।
পাঁচ বছর আগে জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়েছিল বৈশালী মুখার্জির। ক্যান্সারকে জয় করে আজ স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।তাকে এদিন হাসপাতালে নিয়োগের পত্র তুলে দেওয়া হল। এই বিষয়ে বৈশালী জানান, মেডিকায় আমার প্রথম কর্মদিবস সম্পন্ন করার মাধ্যমে, যেখানে আমার সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছিল, জীবন যেন এক পূর্ণ বৃত্ত সম্পন্ন করল।
এদিন ডাঃ সুবীর গাঙ্গুলী বলেন, মূল লক্ষ্য হল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যে গ্যাপ রয়েছে, সেটি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে মেডিকা অনকোলজি টিম একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্যান্সারের ওষুধে দাম কমানোর বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, খুব বেশি লাভ হবে না। যে সব ওষুধে ১০-১৫% দাম কমেছে তাতে সাধারণ মানুষের খরচ কমবে না।
এই বিষয়ে ডাঃ সৌরভ দত্ত জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু চিকিৎসা পরিষেবা নয়, মানুষকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। এই কারণেই আমরা একটি ড্রামা ওয়ার্কশপ আয়োজন করার কথা ভেবেছি, যেখানে শুধুমাত্র যারা ক্যানসারকে পরাস্ত করেছেন তারা যোগদান করতে পারবেন।”
ডাঃ অরুণাভ রায় জানান, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন তাঁদের বার্তা সমাজে পৌঁছে দিতে আমাদের প্রয়াস।হসপিটালের ফ্রন্ট ডেস্কে যদি এমন ক্যান্সার যোদ্ধা থাকে তবে বাকিদের কাছেও নজির। একজন ক্যান্সার যোদ্ধার লড়াইয়ের গল্প রোগীর কাছে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানোর বিষয়ে তিনি জানান, চিকিৎসা থেরাপিতে মর্ডান এমন অনেক ওষুধ আছে যেখানে আমদানি শুল্কতে ছাড় দেওয়া হয়েছে ফলে যে ওষুধের খরচ মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হত তা কিছুটা কম হল। এমন যেন না হয় শুধু বাজেটের টেবিলে আলোচনা হল কিন্তু প্রয়োগ হল না। চিকিৎসায় রোগীর যে ওষুধ খরচ দেওয়ার সাধ্য তা যেন উপলব্ধ হয় নইলে রোগীর কাছে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে।
চন্দন সেন জানান, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা প্রতিবন্ধী তাঁদের নিয়ে নাটক নির্দেশনা বড়ো চ্যালেঞ্জ। একমাস এই মানুষগুলোর ভালো কাটবে যারা শারীরিক সুস্থ নয় কিন্তু মানসিক ভাবে সেরে উঠবে। সমাজের একটা বড়ো অংশের মানুষের স্পর্শ চাই।
Social awareness aims at World Cancer Day