< উকিল সেজে গাঁজা পাচার! | RBarta.com

উকিল সেজে গাঁজা পাচার!

উকিল সেজে গাঁজা পাচার!

উকিল সেজে গাঁজা পাচার! নাকা পয়েন্টে চেকিং কালে কুড়ি কেজি গাঁজা উদ্ধার

 

সুব্রত দে, ত্রিপুরা, প্রতিনিধি :- শনিবার দুপুরে কলমচৌড়া থানাধীনর পুলিশ ভেলুয়ারচর নাকা পয়েন্টে ভেহিকেল চেকিং কালে একটি সন্দেহভাজন যাত্রীবাহী অটোকে আটক করে ডিউটিরত কলমচৌড়া থানার পুলিশ। আটককৃত অটো গাড়িতে চেকিং করলে তাতে দেখা যায় বিহার রাজ‍্যের একজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ যাত্রী রয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে আটো থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অটোতে থাকা মহিলা পুলিশকে জানান,তিনি ভেলুয়ারচরের বাবা ইট ভাট্রায় শ্রমিকের কাজ করেন এবং তার সাথে যাত্রী হিসেবে থাকা দুইজন পুরুষ লোক বিহার থেকে এসেছেন গাঁজা পাচারের উদ্দেশ্যে। ফলে মহিলার বক্তব্য শুনে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার শান্তি ত্রিপুরা সহ পুলিশ কর্মীরা টি আর ০৭ ৩৮৮১ নম্বরের অটোর মালিক তথা চালক নিবাস দাসের গাড়িটিতে তল্লাশি চালালে দেখা যায় দুটি ভি আইপি ট্রলিতে অবৈধ গাঁজা রয়েছে। ফলে সাথে সাথে গাড়ির চালক ও যাত্রীদের কলমচৌড়া থানায় নিয়ে আসা হয়। জানা যায় উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ কুড়ি কেজি।

এদিকে ধৃতদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় বাবা ঈট ভাট্টায় গত দুই দিন আগে এই দুই জন পুরুষ লোক এসেছেন। আর মহিলাটি এই ভাট্টারই শ্রমিকের কাজ করছেন বলে জানান। এদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ইট ভাট্টায় কর্মরত বেশ কিছু শ্রমিক প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে গত প্রায় দুই বছর ধরে গোপনে বিহার রাজ‍্যে গাঁজা পাচারের কাজ থাকছেন। একাংশের দাবি এই গাঁজা পাচার কাজের সাথে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছেন ইট ভাট্টার মালিকগনও। তবে এই দিনের ঘটনার খবর পেয়ে কর্তব্যরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ভাট্টার একজন মালিক সাংবাদিকদের সাথে অভব‍্য আচরন করেন এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।  দুই পুরুষ এবং মহিলা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের নাম কন্যা কুমার,গোপাল কুমার এবং রামচান দেবী। এদিন ডিউটি রত পুলিশ তাদের মধ্য থেকে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন তিনি নাকি উকিলের কাজ করেন।

তাহলে কি উকিল সেজে বিহারে গাজা পাচার করাই তার ছিল মূল মাস্টার মাইন্ড।পুলিশ যদি ভালো করে জিজ্ঞাসা বাদ করে তাহলে বেরিয়ে আসতে পারে এই গাঁজা পাচারের সাথে কারা কারা যুক্ত আছে। আরেকটা প্রশ্ন থেকেই যায় ইট বাটার আরালে কি গাঁজা পাচার বাণিজ্যের মূল করিডর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য রাএ দিন এক করে কাজ করছেন? ঠিক সেই জায়গাতেই বিভিন্ন বাট্টা গুলিতে বিহারের শ্রমিক এনে কি গাঁজা পাচার হচ্ছে। প্রশ্ন কিন্তু একটা থেকেই যায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *